শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে রাষ্ট্রচিন্তা, চবি কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আলোচক হিসবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য।
আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আমি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি মৃদু সমালোচনা করতে চাই। এই সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১০টি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে এই পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি এই সরকার। অথচ সরকারের সর্বপ্রথম উচিত ছিলো শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া। কারণ যতো ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার, আর্মি অফিসার, বিসিএস ক্যাডারসহ যা কিছু আছে সব কিন্তু এই শিক্ষাক্ষেত্র থেকেই বের হয়৷ কাজেই এই শিক্ষাক্ষেত্রেই সবচাইতে বড় সংস্কারটা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বক্তব্য দেয়ার সময় বলছি শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু এই মেরুদণ্ডের চিকিৎসা না করে আমরা এখন আঙুলের চুলকানির চিকিৎসায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। কাজেই আমি সরকারের কাছে আহবান করব, এখন যদিও দেরি হয়ে গেছে, তবুও আপনারা শিক্ষা সংস্কারের একটা কমিশন গঠন করুন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসা চন্দনপুরার শিক্ষক ও চিন্তক মুহম্মদ মুনির উদ্দিন।
এ ছাড়াও সংবিধান বিষয়ে আলোচনা করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।