অন্ধকার সড়কে বিকাশ এজেন্টকে ছুরি মেরে টাকা ছিনতাই

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বিকাশ এজেন্টকে ছুরিকাঘাত করে নগদ দেড় লাখ টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা।
শুক্রবার রাতে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের শাহ্-ই দরবার ইসলামি কমপ্লেক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত বিকাশ এজেন্টের নাম মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ (৩০)। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহত অবস্থায় আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তাকে।

আহত কলিম উল্লাহ আনোয়ারা সদরে গনি মার্কেটের সামনে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করতেন। তিনি চাতরী ইউনিয়নের রুদুরা গ্রামের মৌলানা মোজাম্মেল হকের ছেলে। রাত সাড়ে দশটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল যোগে তিনজন যুবক পেছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরির আঘাত করে নগদ দেড় লাখ টাকা ও ৫টি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান আহত কলিম উল্লাহ।

আহতের বড়ভাই মহিবুল্লাহ্ জানান, দোকান বন্ধ করে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে পিছন-পিছন মোটরসাইকেল যোগে তিনজন যুবকও যাচ্ছিল। এরা শাহ্-ই দরবার ইসলামি কমপ্লেক্সের সামনে এসে ধাক্কা দিয়ে পেলে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে। গুরুতর আহত অবস্থায় সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এঘটনায় আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

প্রত্যক্ষদর্শী মাওলানা মঈনুদ্দীন হেলাল জানান, রাতে ঢাকা থেকে এসে টেক্সিতে করে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এসময় দেখি অন্ধকার সড়কের মধ্যে এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের সহযোগিতা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আনোয়ারা সদরে মুদির দোকান প্রবীর স্টোরের মালিক দোকান খোলার সময় সিএনজি থেকে নেমে এক তার টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠার ঘটনাও ঘটে। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করলে ব্যাগ রেখে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

স্থানীয়রা জানান, দিনেরপর দিন রাতের অন্ধকারে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে এসড়কে। রাতে সোলার বাতি যেমন নেই। তেমনই এ সড়কে দেখা মেলে না সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের টহল। অন্ধকারের সুযোগ নেয় ছিনতাইকারীরা। অনেকেই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে টাকা, গহনা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়াচ্ছেন। এসব অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহম্মদ বলেন, ঘটনটি তদন্ত করছে পুলিশ। আশা করি ঘটনার জড়িতদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনতে পারব। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।