অবাধে বালু উত্তোলনে ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমি, পাহাড়-প্রকৃতি

রাঙামাটির লংগদুতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে বিভিন্ন ফসলি জমি ধ্বংস এবং হুমকির মুখে পড়েছে পাহাড়-প্রকৃতি ও পরিবেশ। যত্রতত্র বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। বছরের পর বছর ধরে এ অবৈধ কাজটি করে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তা কোনো কাজে আসছে না বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এভাবে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। অবৈধ মেশিনগুলোর মালিকরা ঘুরে ঘুরে গ্রামের পরিত্যক্ত খাল, ডোবা ও পুকুর; অন্যদিকে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে। আটারকছড়া, মাইনী ও লংগদুর বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট খাল ও পাহাড়ের মাঝখানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খাল ও পাহাড়ের ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।

জানা যায়, ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালুর বেশির ভাগই স্থানীয় ঠিকাদাররা তাদের নির্মাণ কাজে ব্যবহার করে। সড়ক ও সরকারি স্থাপনার কাজে এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে উত্তোলিত এ বালু। এছাড়া কম খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে বালু পাওয়ায় ঠিকাদারদের পাশাপাশি বসতবাড়ি নির্মাণেও অনেকে পরিবেশ বিধ্বংসী এই ড্রেজার ব্যবহার করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ড্রেজার মেশিন মালিক জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সেতু বা নির্মাণাধীন ভবন সংলগ্ন চলমান কাজের আশেপাশের এলাকায় ২০-৩০ ফুট পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছেন তারা। তাদের ভাড়া করে নেওয়া হয় খাল ও পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বালু উত্তোলনের জন্য।

এদিকে লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বরদাশ্‌ত করা হবে না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে অতিদ্রুত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।