অবৈধ করাতকলের গাছের গুঁড়ি সড়কে—দুর্ঘটনা, জরিমানা

করাতকল স্থাপনে বন বিভাগের লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক হলেও লাইসেন্সবিহীন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়েই চলছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার অধিকাংশ করাতকল। সড়কের একাংশ দখল করে এসব করাতকলের গাছের গুঁড়ি রাখা হয়েছে। গাছের গুঁড়ির কারণে যানবাহন চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা।

শনিবার (১০ জুন) বিকেলে আনোয়ারা সদরে অভিযান চালিয়ে আবদুল খালেক নামে এক করাত কলের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মুমিন।

তিনি জানান, সড়ক দখল করে বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। এতে করে ঘটছে সড়কে দুর্ঘটনা। এছাড়াও বেশিভাগ করাত কলের নেই লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। আবার কোনোটির লাইসেন্স থাকলেও তা মেয়াদোত্তীর্ণ। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সম্প্রতি হাইলধর ইউনিয়নের মালঘর বাজারে সড়কে করাত কলের গাছের গুঁড়ি রাখায় দুর্ঘটনার শিকার হন এক পথচারী। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবারও অভিযান চালিয়ে মো. জহির নামে এক করাত কলের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার।

উপজেলার ৩৯টি করাতকলের মধ্যে অন্তত ২১টি করাতকলই অবৈধ। এগুলোর কোনোটির লাইসেন্স নেই, আবার কোনোটির লাইসেন্স থাকলেও তা মেয়াদোত্তীর্ণ। বন বিভাগ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী এই করাতকলের অধিকাংশই অনুমোদন পাওয়ার যোগ্য নয়।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলার ৩৯টি করাতকলের মধ্যে লাইসেন্স আছে ২৫টির। এর মধ্যে ৬—৭টির লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এ ছাড়া ১৪টি করাতকলের লাইসেন্স নেই। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২১টি করাতকলই অনুমোদনহীন বা অবৈধ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।