অরক্ষিত সীমান্ত—বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় সীমান্ত এলাকায় অরক্ষিত পারাপারের কারণে লাগামহীনভাবে বাড়ছে ম্যালেরিয়া, দাবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অনন্যা চাকমার।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কিটনাশকযুক্ত মশারি সঠিকভাবে ব্যবহার না করায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মার্চে ৫৫ জন, এপ্রিলে ৭৯ জন, মে মাসে ২৩৩ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মে মাসের দুমদুম্যা ইউনিয়নে ১৩৩ জন শনাক্ত হয়েছে।

দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ব্র্যাকসহ ইউনিয়ন পরিষদ সম্মিলিতভাবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সীমান্ত এলাকায় নির্বিঘ্নে পারাপার বন্ধ করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অবহিত করা হবে। এছাড়া সরকারিভাবে সরবরাহকৃত কিটনাশক যুক্ত মশারী সঠিক ব্যবহার ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ‘বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নে ম্যালেরিয়া নির্মূল এখনই সময়‍‌’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জুরাছড়ি উপজেলায় বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালন করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।