অর্থসংকটের কারণে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেসরকারি লাইফগার্ড সেবা সি-সেফ লাইফগার্ড বন্ধ হওয়ার পথে। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষে কার্যক্রম বন্ধ হলে ২৭ জন লাইফগার্ডসহ মোট ৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাবেন।
জানা গেছে, ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের ‘রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট’ (আরএনএলআই) অর্থায়নে সেবা চালু করা হয়। এরপর থেকে সি-সেফ লাইফগার্ডরা স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধারে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৮০৭ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৬৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সি-সেফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, মাসে গড়ে ১৪ লাখ টাকার খরচ জোগাতে না পারার কারণে সেবা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, হোটেলগুলোর মাধ্যমে লাইফগার্ড সেবা চালু রাখতে হবে। বড় হোটেল তিনজন, ছোট হোটেল একজন লাইফগার্ডের বেতন প্রদান করবে। তবে হোটেল মালিকরা এই খরচ বহন করতে পারবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
লাইফগার্ডরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ বাঁচাই, এখন আমাদের জীবনই ঝুঁকিতে পড়ছে। চাকরি না থাকলে সংসার চালানো কঠিন হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতি বছর কক্সবাজার সৈকতে অন্তত ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি পর্যটক আসে। বর্তমানে পাঁচ কিলোমিটারে লাইফগার্ড সেবা থাকলেও অবশিষ্ট ১১৫ কিলোমিটার সৈকত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকবে, যা পর্যটকদের জন্য বড় ঝুঁকির বিষয়।



মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।