অল্প বৃষ্টিতে ডুবলো পিসি রোড, শোলকবহর

মাত্র ২৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি ডুবলো চট্টগ্রামের পোর্ট কানেক্টিংরোড, মুরাদপুর-শোলকবহর, চান্দগাঁওয়ের খাজারোডসহ নিম্নাঞ্চল। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দিন কর্মস্থলমুখি মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বন্দরের সাথে সংযুক্ত হালিশহর-পাহাড়তলী এলাকার পোর্ট কানেক্টিং রোড পানির নীচে তলিয়ে আছে। সিএনজি, প্রাইভেটকারসহ ছোট যানগুলো চলতে গিয়ে পানিতে নষ্ট হয়ে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি।

সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যাত্রী শফিক আহমেদ বলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থেকে ফেনী হয়ে অলংকার এসে বাস থেকে নামলাম। নেমে আগ্রাবাদ বারিকবিল্ডিং এলাকায় অফিসে যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠলাম। রাস্তার মাঝে পানি ডুকে সিএনজি নষ্ট হলে। জুতা-কাপড় ভিজিয়ে হেঁটে রাস্তার পাশে অনেক্ষণ অপেক্ষা করে রিক্সা পেলাম। ভেজা কাপড়েই অফিস করতে হবে।

চান্দগাঁও ওয়ার্ডের খাজা রোডের বড় একটা অংশ পানির নিচে তলিয়ে আছে ঈদের দিন থেকেই।
ওই এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, আগের বৃষ্টি থেকেই আমাদের এলাকার সড়কগুলো পানির নিচে। আজকের বৃষ্টিতে সেটি আরও বাড়লো। ব্যক্তিগত যান চলাচল এক প্রকার বন্ধ। রিক্সাই একমাত্র ভরসা।

অপরদিকে চট্টগ্রামে চলছে সর্বকালের সর্বোচ্চ বাজেটের জলাবদ্ধতার নিরসনের কাজ। প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, এটি মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি। নালা-নর্দমা ক্লিয়ার ছিল না। তাই পানি নামতে একটু সময় নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে সব জায়গায় পানি আটকা পড়ছে আমরা সেখানে কাজ করছি। দ্রুত পানি সরে যাবে।

মুরাদপুর-ষোলশহর খালের প্রশস্ততা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, খালের প্রশস্ততা ছিল চার মিটার। আমরা সেটাকে আট মিটার করছি। কাজ চলমান আছে। কাজ শেষ হলে এই এলাকার সমস্যাও থাকবে না।

চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরার বলেন, চুনারটাল এলাকায় খালের ওয়াল নির্মাণ হচ্ছে। যার কারণে নিয়মিত পানি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কাজ শেষ হলে তো সমস্যা সমাধান হবেই। যদি কাজ শেষও না হয় ভোগান্তি লাগবে আমরা পানি সরার ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রসঙ্গত, পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।