অস্ত্রসহ আরও ৬ জলদস্যূ র‌্যাবের জালে

চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালীসহ বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি করে বেড়ানো ৬ জলদস্যূকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ মে) বিকেলে র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাব-০৭এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।

তিনি বলেন, বাঁশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, কতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকার কুখ্যাত জলদস্যূদের বিরুদ্ধে র‌্যাব দীর্ঘদিন অভিযান চালিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপকে র‌্যাব আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সর্বশেষ গত কয়েকদিনে মোট আটজন জলদস্যূকে র‌্যাব আটক করেছে।

আটক আটজনের মধ্যে রয়েছে আজিজ বাহিনীর প্রধান ডাকাত আজিজ, কালু বাহিনীর প্রধান গুরা কালু এবং সাহাব উদ্দিন বাহিনীর প্রধান ডাকাত সাহাব। আটজনকে আটকের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং লুন্ঠিত জাল ও একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

আটক জলদস্যূদের মধ্যে মো. কালু প্রকাশ গুরা কালু কক্সবাজারের কতুবদিয়ার পেয়ারাকাটার নুর হোসেনের ছেলে। মো. আজিজুল হক অংক পেকুয়ার করিয়ারদিয়ার আনসার উল করিমের ছেলে। সাহাব উদ্দিন কুতুবদিয়ার পূর্ব তাবলরচরের ইবনে আমিনের ছেলে।

এদের মধ্যে গুরা কালুর বিরুদ্ধে ১০টি, আজিজের বিরুদ্ধে তিনটি এবং সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে।

অন্যান্য জলদস্যূদের মধ্যে নুরুল বশর কতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুয়র শাহআলমের ছেলে। শহিদুল ইসলাম চকরিয়ার মাইজঘোনা এলাকার মৃত আব্দুছ ছালামের ছেলে। নেজাম উদ্দিন চকরিয়ার রামপুরের মৃত বখতিয়ার উদ্দিনের ছেলে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে যথাক্রমে একটি, দুটি ও তিনটি করে মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-০৭ এর অধিনায়ক আরও জানান, আটকৃত জলদস্যূরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে স্বীকার করে যে, তারা কয়েকটি সংঘবদ্ধ চিহিৃত শীর্ষ জলদস্যূ ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং বিশেষ করে আজিজ ডাকাত, গুরা কালু এবং ডাকাত সাহাব তিনজন মিলে তিনটি দল পরিচালনা করত। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী থানা এলাকাসহ সাগর পথে বিভিন্ন চ্যানেলে ডাকাতি করে আসছে।

আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আরও পড়ুন:
অস্ত্র ব্যবসায়ী বাবুল ও জলদস্যূ জিকু অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে ধরা

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।