নগরীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আটকৃতরা হলো—রকি, সুজন ও রিপন। এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী একনালা বন্দুক, দুইটি কার্তুজ, একটি ধারালো ছোরা (চাপাতি), একটি কিরিস, একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করেছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা উত্তর-দক্ষিণ) নিহাদ আদনান তাইয়ান বিস্তরিত তুলে ধরেন। এসময় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) শেখ সাব্বির হোসেন এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তফা কামাল অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, গোপন সংবাদের শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর হালিশহর থানাধীন আব্বাস পাড়া টোলরোডস্থ পাকা ব্রিজের নিচে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ডাকাত দলের সদস্য রকি, সুজন ও রিপনকে আটক করা হয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে আমরা একটি দেশীয় তৈরী একনালা বন্দুক, দুইটি কার্তুজ, একটি ধারালো ছোরা (চাপাতি), একটি কিরিস, একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রকি বাহিনী চট্টগ্রাম নগর, ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করে। মূলত তারা বিভিন্ন পন্থায় বাস ডাকাতি করে। রকির বিরদ্ধে সিএমপি এবং ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫টি এবং সুজনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা বিচারাধীন আছে।
তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রকি (২৮) খুলশী থানার লালখান বাজারের মতিঝর্ণা ৫নং গলির আবদুল খালেকের ছেলে। সুজন কুমিল্লার দেবিদ্বারের রঘুরাপুরের মোবারক হোসেনের ছেলে। তারা দুজনই হালিশহর থানার আব্বাসপাড়ায় বসবাস করে।
অপর আসামি রিপনের পিতার নাম বাবুল মিয়া। সদরঘাট এলাকায় বার কোয়ার্টার্স, ইউনুছ মিয়ার ভাড়া ঘরে থাকে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।