চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সে সব আয়োজন রাখতে চাই। একইসঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই। এজন্য শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আউটার স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আউটার স্টেডিয়াম থেকে আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে। খেলোয়াড় ও অ্যাথলেটস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মেলার পরিবর্তে খেলাধূলা চলমান রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজ চলমান রয়েছে। জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক খেলার মাঠ তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মহিলাদেরকে খেলাধূলা ও অনুশীলনে পারদর্শী করতে এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠকে তৈরী করা হচ্ছে।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারেরা আউটার স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য ম্লান করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দায়িত্ব নিয়েই সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। কথা দেন, এ স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলবেন। তিনি কথা রাখলেন, স্থাপন করলেন উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর। ইতিমধ্যে মাঠের চারপাশে ফেন্সিং দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সিজেকেএস সহ-সভাপতি রাকিব হাসান, সিজেকেএস সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, কাউন্সিলর ও নির্বাহী সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, সৈয়দ আবুল বশর, গোলাম মইিউদ্দিন হাসান, নাসির মিয়া, হারুন-আল রশিদ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ আসলাম হোসেন খান প্রমুখ।
জানা গেছে, আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এর মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম এবং বসার জায়গা থাকবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।