খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিনরাত পরিশ্রম করে পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। তাই সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ দিলেন সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও লংগদু উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে লংগদুর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতাভুক্ত সুবিধাভোগীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মিলন মেলায় খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।
এ সময় লংগদুতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী হাজারো উপকারভোগীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া চান রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আমরা উন্নয়ন কাজ করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান এবং দেশে সকল প্রকার ভাতা সুবিধা শুরু করেছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট চাইলেন তিনি।
দীপংকর তালুকদার বলেন, আজকের মিলন মেলা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটুকু জনপ্রিয়। আজকে কাউকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দমাতে পারেনি। তিনি পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে অস্ত্রধারীদের দমন করার আহবান জানান। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়ন চাইলে বাধা নয় সহযোগিতা করুন।
পরে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৫ জন নিবন্ধিত দরিদ্র জেলেদের মাঝে বিকল্প আয়বর্ধক কার্যক্রমের উপকরণ হিসেবে ছাগল ও খাঁচায় মাছ চাষের উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও নতুন করে সরকারি সুফলভোগী অনেকের হাতে বিভিন্ন ভাতার কার্ড, নগদ অর্থ এবং চেক প্রদান করা হয়েছে।
লংগদু প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরমান খান ও ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মান্টি চাকমার যৌথ সঞ্চালনায় সভায় উপজেলার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতাভুক্ত সরকারি সুবিধাভোগীসহ হাজারো সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
লংগদু উপজেলাস্থ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলন মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে লংগদু জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল হিমেল মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম ও আসমা বেগম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম এবং বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।