আগামী নির্বাচনে কল্যাণ পার্টি ৫০ আসনে প্রার্থী দিবে

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০ আসনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক। তন্মেধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৯টি আসন রয়েছে।

দলের ৫ম ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের আয়েজন করে কল্যাণ পার্টি। শনিবার (৮ অক্টোবর) জামালখানস্থ একটি রেস্টুরেন্টে দুপুর ১২টা মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত হয়। দলের সদ্য নির্বাচিত মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন মিট দ্যা প্রেস পরিচালনা করেন। এসময় কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াছ, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সাজিদ ইকবাল, সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মামুন জোয়ার্দ্দার, দক্ষিণ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল উপস্থিত ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও দেশে ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সাহসী মেধাবী তরুণদের হাত ধরেই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। আমরা আশা করছি নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে আলোর দিশা দেখাবে। সাহসী মেধাবী তরুণদের হাত ধরেই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বিদেশে আমাদের কোনও শত্রু তৈরী হউক সেটা কামনা করে না। আমরা ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে। যে সকল দেশের সাথে যোগাযোগ নেই সে সকল দেশের সাথে যোগাযোগ তৈরী করতে হবে। অনিয়ম দুর্নীতিতে দেশটা ডুবছে, সিন্ডিকেট ব্যবসা, চাঁদাবাজি সর্বোপরি ব্যাংক লোপাট করে বিদেশে অর্থ পাচার কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার এর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সকল বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও দলগুলোর দাবীর প্রতি আমরা একাত্মতা ঘোষণা করছি। অবিলম্বে সকল মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সকল আলেম ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ আপনারা কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যা সত্য তার মত কাজ করুন। এদেশের মানুষের মুক্তির লড়াই চলছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার অনুমতি দিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পাটি আগামীর গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চায়। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি জোট ছাড়া নির্বাচন করি তাহলে ৫০ আসনে আমাদের প্রার্থী থাকবে। জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে জোটের কাছে আমরা ৫০ আসন চাইবো। এর মধ্যে মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৯টি আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।