করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ক্যাম্পাইনের মাধ্যমে বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারই অংশ হিসেবে আজ (৪ জুন) থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে করোনার বুস্টার ডোজ সপ্তাহ। চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত।
এ সময়ের মধ্যে দেশব্যাপী ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার জনকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। ফলে যারা করোনার বুস্টার পায়নি তারা করোনার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এজন্য মোবাইলে এসএমএস আসার অপেক্ষা করতে হবে না।
জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, নগর এবং জেলার সব টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। এজন্য টিকা কার্ডটি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক্ষেত্রে স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেয়া করা হবে। স্থায়ী কেন্দ্রের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জেলা হাসপাতাল উপজেলা হাসপাতালগুলোতে টিকা দেয়া হবে। আর অস্থায়ী কেন্দ্রের মধ্যে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে, পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে, গ্রামের ক্ষেত্রে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে অস্থায়ী কেন্দ্র পরিচালিত হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য জানায়, সারা দেশে ১৬ হাজার ১৮১ টিকা কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ৬২৩টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৫ হাজার ৫৫৮টি।
বুস্টার ডোজ সপ্তাহ চলাকালে একযোগে ৪৫ হাজার ৫৩৫ জন টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কাজে নিয়োজিত থাকবেন। স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে ৭ দিন ও অস্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে ২ দিন টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা একটি কার্যকর সমাধান উল্লেখ করে অধিদপ্তর জানায়, টিকার সম্পূর্ণ সুফল পেতে অবশ্যই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।