আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস

আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা তৈরি ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য চালানো এটি একটি প্রচারণামূলক দিবস।

প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

জানা গেছে, বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হলো- সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতির সমর্থন ও প্রচলন করা। এ ছাড়া সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

বিশ্ব পানি সপ্তাহে সুইডেনের স্টোকহোমে ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া অংশীদার (জিএইচপি) বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এ দিবসটি উদযাপন করে। পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তারিখটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অন্যদিকে করোনাভাইরাসজনিত চলমান বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে বারবার হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন স্বাস্থ্যবিদরা। তাঁরা বলছেন, পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে এক ঘণ্টা পর পর হাত ধুয়ে নেয়া প্রয়োজন। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করলে শুধু করোনাভাইরাস নয়, আরো অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব আমরা।

অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েও হাত পরিষ্কার করা যায়। তবে অনেক চিকিৎসকই মনে করেন যে স্যানিটাইজারের চেয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া অনেক বেশি কার্যকর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে আমরা আমাদের হাত দিয়ে অসংখ্য কাজ করে থাকি। কাজ করতে গিয়ে আমাদের হাত অসংখ্য জীবাণুর সংস্পর্শে আসে, যার ফলে নানা রোগ হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মল হচ্ছে ডায়রিয়ার জীবাণুর প্রধান উৎস।

এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারে শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধ হয় শতকরা ৩২ ভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষায় ৩২ ভাগ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ২৫ ভাগ আর সঠিক নিয়মে হাত ধুলে ৪৪ ভাগ। অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাস একটি ভালো ভ্যাকসিনের চেয়েও বেশি কাজ করে। শুধু খাবার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাস সহজেই এ সব রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।