আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম ওয়াসার ৫টি শোধনাগার, ৫টি রিজার্ভার, ১০টি বিতরণ পয়েন্ট ও গ্রাহক পর্যায়ে চারটি পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পানি পরীক্ষার প্যারামিটারগুলো হলো- PH, TDS, EC, Iron, Arsenic, Chloride, TVC, Coliform.
২০১৮ সালে চট্টগ্রাম নগরীতে পানিবাহিত রোগ জন্ডিস ও টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়লে দোষারোপ করা হয়েছিল ওয়াসার পানিকে। তখন ওয়াসা নিজেদের ল্যাবে পরীক্ষা করে পানিকে বিশুদ্ধ দাবী করলে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আদালতে রীট করা হয়।
আদালত ১২৮৭৯/২০১৮ নম্বর রিট আমলে নিয়ে শুনানী শেষে ওয়াসার পানি পরীক্ষার আদেশ দেন। সেই আদেশ অনুসারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ২ জুন পানি পরীক্ষার আদেশ জারি করে।
সেই আলোকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে আরও তিনজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে হচ্ছে ওয়াসার পানির মান পরীক্ষা। কমিটিতে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জোবাইদুল আলম, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর ড. দীপংকর চক্রবর্তী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ল্যাব ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জোবাইদুল আলম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার পাঁচটি পানি শোধনাগার, গভীর নলকূপ, রিজার্ভার এবং গ্রাহক সংযোগস্থলসহ মোট ২৪টি পয়েন্ট থেকে পানি সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা কয়েকটি পয়েন্ট থেকে নমূনা সংগ্রহ করেছি। নমূনা সংগ্রহ শেষে পৃথক তিনটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা শেষে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আমরা অগ্রসর হবো।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার–২, শেখ রাসেল পানি শোধনাগার, মোহরা পানি শোধনাগার ও কালুরঘাট আয়রণ রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট ও বুস্টিং স্টেশন থেকে নমূনা পরীক্ষা হচ্ছে।
ওয়াসার নাসিরাবাদ রিজার্ভার-১, নাসিরাবাদ রিজার্ভার-২, লাভলেইন গভীর নলকূপ, বাটালিহিল রিজার্ভার, হালিশহর এলিভেটেড ট্যাংক থেকে নমূনা পরীক্ষা হচ্ছে।
পতেঙ্গা বুস্টার স্টেশন, ডিটি রোড বুস্টার স্টেশন, হালিশহর বি ব্লক, ঈদগা কাঁচা রাস্তা, আগ্রাবাদ কমার্শিয়াল এলাকা, জামালখান, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, চকবাজার পারসিভ্যাল হিল, মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকা ও বাকলিয়ার কেবি আমান আলী রোডের বিতরণ পয়েন্ট থেকে পানির নমূনা পরীক্ষা হচ্ছে।
গ্রাহক পর্যায়ে হালিশহর জি ব্লক, মেহেদীবাগের আমীরবাগ আবাসিক এলাকা, চকবাজারের প্যারেড কর্নার সিরাজউদ্দৌলা রোড ও খাজা রোডের বাদামতল এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পানির মান পরীক্ষার ব্যয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর বহন করবে। কমিটিকে পানি পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।