আদালত পাড়ায় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া বাচ্চু ইয়াবা নিয়ে আবার ধরা

চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি শামসুল হক বাচ্চুকে (৬০) ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে সীতকুণ্ড থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে আরও ৩৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রোববার (২২ জানুয়ারি) সকালে সীতাকুণ্ডের বাস স্ট্যান্ড থেকে বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম

বাচ্চু কুমিল্লা সদরের কালিবাজার ইউনিয়েনের কৃষ্ণপুর পইয়াবাড়ির মরহুম রহমত আলীর ছেলে। থাকতেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলা রয়েছে।
বাচ্চুকে ফের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ৫ জানুয়ারি আদালতে কর্তব্যরত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল মাদক ব্যবসায়ী বাচ্চু। আজ আমরা তাকে আবার গ্রেপ্তার করেছি।

এর আগে গত ৪ জানুয়ারি দুপুরে চন্দনাইশ থানার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশী চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করে। মাদক মামলায় বাচ্চুকে পরদিন আদালতে পাঠিয়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশ জিআরও শাখায় বুঝিয়ে দেন। আদালতে শুনানী শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিকে কোর্ট হাজত থেকে কারাগারে পাঠানোর জন্য হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামিদের কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়ার ফাঁকে বাচ্চু পালিয়ে যায়।
৫ জানুয়ারি আসামি পলায়নের ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয় ৮ জানুয়ারি রাতে।

আদালতে তাকে মাদক মামলার জিআরও শাখায় বুঝিয়ে দেয় চন্দনাইশ থানা পুলিশ। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর শামসুলকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়। আসামিকে হাজতে রাখার পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়। এরপর তাকে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসিয়ে রাখার পর এক ফাঁকে শামসুল পালিয়ে যায়।

গত ৫ জানুয়ারি বিকেলে এ ঘটনা ঘটলে পরদিন ৬ জানুয়ারি নগরের কোতোয়ালী থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে জেলা পুলিশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।