আনোয়ারায় অবৈধ বালুমহল বন্ধ করে কলাগাছ রোপন!

দেশের প্রথম চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নে ভরাশঙ্খ খালে প্রায় ২১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল হাইড্রোলিক এলিভেটর বাঁধ। হাইড্রোলিক এলিভেটর বাঁধটি উদ্বোধনের পর থেকে এখানে গড়ে উঠে প্রভাবশালী মহলের অবৈধ বালুমহল। প্রশাসনের একের পর এক অভিযান ও জরিমানায় অবৈধ বালুর মহলটি বন্ধ না হওয়ায় এবার অভিনব এক উপায় অবলম্বন করেছেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া হাইড্রোলিক এলিভেটর বাঁধ (রাবারড্যাম) এলাকায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মুহাম্মদ অভিযান চালিয়ে বালু মহলটি বন্ধ করে কলাগাছের চারা রোপন করে দেন। এ সময় তিনি বালু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবছারকে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করেন। তার এই অভিনব অভিযানে ধন্যবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা দেশের প্রথম হাইড্রোলিক এলিভেটর বাঁধটি রক্ষা পেয়েছে বলেও জানান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মুহাম্মদ বলেন, একের পর এক অভিযান, জরিমানা এবং সর্তক করেও বন্ধ করেনি তাদের বালু মহলের ব্যবসা। মঙ্গলবার আবারও অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং মুচলেকাও নেওয়া হয়। এছাড়াও বালু রাখার স্থানে কলাগাছের চারা রোপন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাঁধের দুইপাশে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য রক্ষায় কাজ করা হবে এবং দর্শনার্থীদের বসার জন্য স্থাপনা গুলোও সংস্কার করা হবে।

এরআগে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন প্রশাসন। দেশে বিভিন্ন স্থানে রাবার ড্যাম থাকলেও এটি প্রথম চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নির্মিত হয় হাইড্রোলিক এলিভেটর বাঁধ। এই হাইড্রোলিক এলিভেটর বাঁধ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সারা বছর মিঠাপানি আটকে রাখা যায় খালে। বাঁধ হওয়ার কারণে আনোয়ারার ভরাশঙ্খ এলাকার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি লোনা পানি মুক্ত হয়েছিল। একই সাথে শুকনো মৌসুমে মিঠাপানির যোগানও দিতে সক্ষম এটি। একই সাথে হাইড্রোলিক বাঁধটির উপর একটা ব্রীজ নির্মিত হয়েছে যার কারণে দুই ইউনিয়নের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও নির্মাণকালে এই প্রকল্পে সৌন্দর্যবর্ধনে গুরুত্ব দিয়ে এটাকে গড়ে তোলা হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে প্রভাবশালীদের কবলে হুমকিতে পড়ে বাঁধসহ যাতায়াতের সড়কটি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।