আনোয়ারায় আবারও গণধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কোরিয়ান কেইপিজেডের পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—মো. রাসেল (২৫), মো. আরিফ (২৬) ও শাকিল উদ্দিন টিটু (২০)। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই একই এলাকার। এ ঘটনায় জড়িত আবদুল আজিজ (৩৬) নামে আরও এক যুবক পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।

রোববার (২১ মে) ভোররাতে উপজেলার রায়পুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে যায় জড়িত অপর যুবক। এর আগের রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিলের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।’

পুলিশ জানায়, একই ইউনিয়নের ১৮ বছরের তরুণী কর্ণফুলী কোরিয়ান কেইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরির সুবাধে গ্রেপ্তারকৃত একই এলাকার সিএনজি চালক রাসেলের গাড়িতে করে আসা যাওয়ার মধ্যে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সুবাদে প্রতিদিনই কারখানায় আসা যাওয়া নেওয়া করতো সিএনজি অটোরিক্সা চালক রাসেল।

শনিবার (২০ মে) চাকরি শেষে রাত ৮টার দিকে বন্দর সেন্টার এলাকা থেকে গাড়িতে রাসেলের আরও তিন সহযোগীসহ কৌশলে রায়পুরের পূর্ববিল এলাকার পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে সারারাত জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে তরুণীকে পেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।

থানার ওসি মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, ‘এঘটনায় ভিকটিমের মা থানায় বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধারকৃত তরুণী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ-ক্রাইসিসি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর আনোয়ারায় পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়। মার্চের ঘটনায় পুলিশ টাকা নিয়ে অভিযুক্তদের ছেড়ে দিলে চট্টগ্রাম খবরে সংবাদ প্রকাশ হয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সাময়িক বরখাস্ত হয় এবং ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।