চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেবর-ননদের মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধুর নাম তাহমিনা আক্তার (৩০)। তিনি উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পশ্চিম বরৈয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী। তাদের সংসারে তিনজন কন্যাসন্তান রয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওই গৃহবধুর শ্বশুর বাড়িতেই ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, সৌদি প্রবাসী মো.আরিফের সঙ্গে একই উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয় প্রায় এক যুগ আগে। বিয়ের পর থেকে তারা সুখে-শান্তিতেই সংসার করছিলেন। তবে কয়েকদিন ধরে তাদের সুখের সংসারে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তাহমিনার দেবর ও ননদ। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে পরপুরুষের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা ও পরকীয়ার অপবাদ দেওয়া হয় তাকে। মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে রোববার রাতে শ্বশুর বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই গৃহবধু।
নিহত গৃহবধুর মামা মো. হারুন বলেন, রাত ৩টার দিকে তাহমিনার আত্মহত্যার খবর ফোন করে জানায় তার দেবর। সকালে সেখানে গিয়ে দেখি খাটের ওপর তাহমিনার মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আমার ভাগিনীর মৃত্যুর জন্য দায়ী তার দেবর মো. কায়সার (৩২) ও ননদ রুবি আক্তার (৩০)। তাদের অপমান সহ্য করতে না পেরে তাহমিনা আত্মহত্যা করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে তাহমিনার দেবর ও ননদ পলাতক রয়েছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে থানায় অভিযোগ করেছে ওই গৃহবধুর মামা। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।