আনোয়ারায় জাল দলিলে স্বাক্ষীও জাল, প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জাল দলিলে স্বাক্ষী জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন মুহাম্মদ আলী আকবর সুমন (৩৫) নামে এক ভুক্তভোগী। এতে জালিয়াতি মামলার আসামী হয়ে হয়রানির শিকার হয়ে ঘরছাড়া ভুক্তভোগী মামলার নিজের নাম প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার কালাবিবির দিঘির মোড় এলাকায় বারখাইন ইউনিয়নের ঝিওরি এলাকার মোহাম্মদ মুছার ছেলে ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলী আকবর সুমন সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম জিয়া, আবদুর নুর, মোহাম্মদ মুবিন ও মোহাম্মদ ইদ্রিছ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলী আকবর সুমন বলেন, ‘স্থানীয় আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি ১৯৬৬ সালের ২০ এপ্রিল মারা যান। এ সময় তার কোন ওয়ারিশ ছিল না। কিন্তু নামের মিল রেখে অপর মৃত আবদুল জলিলের সন্তানরা নিঃসন্তান আবদুল জলিলের নামে জাল-জালিয়াতি করে জমির দলিল তৈরি করে। ওই জাল দলিলে স্বাক্ষী রাখে আমাকে, কিন্ত আমি এবিষয়ে নিজেও জানি না।

পরে ক্ষতিগ্রন্ত একই এলাকার মো. ইদু মিয়া (৪২) আদালতে মামলা করলে জাল-জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় মৃত আবদুল জলিলের পুত্র আব্দুল মান্নান (৪৯) ও দরপ আলীকে (৫২) গ্রেপ্তার করে। একই মামলায় আমার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা করে আদালত। এই জাল-জালিয়াতিতে আমি কোন প্রকার জড়িত নই। এবিষয়ে প্রতিকার চাচ্ছি আমি।’

মো. মোক্তার হোসেন নামে জাল দলিলের অপর স্বাক্ষী বলেন, ‘আমি আলী আকবর সুমনকে চিনি না। সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতি করে দিয়েছে রেজিস্ট্রোরী অফিসের আরিফ নামের এক ব্যক্তি।’

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘আবদুল জলিলের ওয়ারিশগণের নামে বিএস ছিল। আমি দলিল তৈরী করে দিয়েছিলাম মাত্র। আমি তো দলিল লেখক না। ওয়ারিশরা কাকে স্বাক্ষী দিয়েছে সেটা আমি জানি না।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।