আনোয়ারায় টাকার দ্বন্দ্বের মাদক কারবারির হাতে যুবক খুন

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাদকের টাকার দ্বন্দ্বে মোহাম্মদ মানিক (৩২) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ইউসুফ আলী মাষ্টারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাত দেড়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মানিক। নিহত মানিক একই এলাকার মো. ছৈয়দের পুত্র। তার সংসারে স্ত্রী ও এক কন্যা রয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে আনোয়ারা থানায় একই এলাকার মৃত আবু নাসের কন্ট্রাক্টরের ছেলে মো. রাসেল (৩৬)কে প্রধান আসামী ও ২-৩জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই মোহাম্মদ বাবু প্রকাশ বাবুল (৩৮)।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার মাদক কারবারি রাসেল ও মানিকের সঙ্গে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় রাসেল ও তার এক সহযোগির সঙ্গে মানিকের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রাসেল ও তার সহযোগিরা মানিককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা মানিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত দেড়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

নিহতের স্বজনরা বলেন, মা, স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে ইফতার করে ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিল মানিক। কেউ একজন ফোন করে ঘর থেকে তাকে বাইরে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে একটা ফোন আসে, ফোনে বলে মানিককে হত্যা করা হয়েছে, মেডিকেলে আছে। এটা শুনার পরে আমরা মেডিকেলে ছুটে যায় এবং মৃত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাই। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা রোকেয়া বেগম (৬০)। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমার ছেলেকে তারা খুন করেছে। আমি এ খুনের বিচার চাই।’

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তার পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আসামী রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ ৪টি মামলা রয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে রয়েছে দুটি মামলা। স্থানীয় ও স্বজনরা টাকার দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।