আনোয়ারায় রাতের আধাঁরে মাটি ফেলে ফসলি জমি দখলের অভিযোগ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চাতরী ইউনিয়নের রাজছিলা ফকিরের মাজারের পূর্বপাশে রাতের আধাঁরে ফসলি জমিতে মাটি ফেলে দখলের নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২১ মে) রাতে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী জমির মালিক কাজী মৌ. জাকের হোসাইন আনসারী ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর গুয়াপঞ্চক এলাকার মৃত আমির হোসাইনের পুত্র মোহাম্মদ হোসাইন ১৯৮২ সালে তার ভাই কাজী জাকের হোসাইনের নামে ৭১ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ৪১ বছর ধরে জাকের হোসাইন ও তার ভাইয়েরা ভোগ দখল করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে স্থানীয় মৃত যাত্রা মোহন দে পুত্র বাবুল কান্তি নম, রঞ্জিত নম, সঞ্জীত নম, পরিমল কান্তি দে পুত্র নিপুর কান্তি ও অপুর কান্তি তথ্য গোপন করে ওই জমির নামজারী খতিয়ান সৃজন করে।

খবর পেয়ে কাজী মৌ. জাকের হোসাইন আনসারী সৃজিত খতিয়ান বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিস মামলা দায়ের করেন। এদিকে মিস মামলার খবর পেয়ে বাবুল কান্তি দে ও নিপুন কান্তি দের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় শতাধিক লোক নিয়ে রাতের আধাঁরে জমি দখল করে মাটি ভরাট কররে। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হলে আনোয়ারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় জমি ভরাটকারীরা পালিয়ে যায়।

ভূক্তভোগী কাজী মৌ. জাকের হোসাইন আনসারী বলেন, আমরা ৪১ বছর ধরে জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। জমি ক্রয়ের টাকা তাদের পিতা মৃত যাত্রা মোহন দে ও মৃত পরিমল কান্তি দে নিজ হাতে নিয়েছেন। টাকা গ্রহণের স্বীকারোক্তি দলিলে লেখা আছে। এত বছর পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির প্ররোচনায় এই জমি দখলের চেষ্টা করছেন তারা। বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও গ্রাম আদালতে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয়কে বিষয়টি আমরা জানাচ্ছি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাবুল কান্তি নম বলেন, ওই জমি এতোদিন আমরা তাদেরকে লাগিয়ত হিসেবে দিয়েছি চাষাবাদ করার জন্য। তারা আমাদের খাজনা না দিয়ে এখন নিজেরাই জমির মালিকানা দাবি করছে। তাই আমরা স্থানীয় আনোয়ারা মিয়া, জসিম উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর কাছে বিক্রির উদ্দেশ্য বায়নানামা করে দিয়েছি।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, জমি দখলের চেষ্টার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।