চট্টগ্রামের আনোয়ারার বটতলী রুস্তম হাটে সড়ক দখল করে প্রতিদিন বসে শতাধিক অবৈধ দোকান। এতে করে সকাল-সন্ধ্যা তীব্র যানজটের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। বাজারের নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসে এসব অবৈধ দোকানদারদের দখলের শিকার পুরো রুস্তমহাটটি। প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এসব দোকান উচ্ছেদ করলেও বাজারের ইজারাদার আবারও এসব দোকান বসিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ পথচারী ও ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয়রা ও ব্যবসায়ীরা জানান, বটতলী রুস্তম হাটের ওপর দিয়ে হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া সড়কটি জুঁইদন্ডী ও কালিবাড়ি হয়ে রায়পুর ইউনিয়ন পর্যন্ত গিয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনি চট্টগ্রাম নগর ও বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মোহছেন আউলিয়ার মাজার জেয়ারতে হাজার হাজার লোক আসে। এছাড়া রায়পুর, বারশত ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত। কিন্তু বাজারের পূর্ব পাশে জামাল মার্কেটের সামনের সড়ক, পান বাজার, ইয়াকুব মার্কেট ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে সড়ক দখল করেই বসে শতাধিক দোকান। এসব দোকানের কারনে ১৮ ফুট সড়কের ৮ ফুটই দখলে থাকে দোকানিদের। গাড়ী চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন দোকানিদের সাথে চালক ও যাত্রীদের চলে বাকবিতন্ডার ঘটনা। উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তুলে দিলেও আবারো বসে এসব দোকান। এতে করে দূর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। তবে অবৈধভাবে বসা এসব দোকানিরা জানায় বাজারের ইজারাদারের লোকজন প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে তাদের বসিয়েছে। তবে বাজারের ইজারাদার সাহাব উদ্দিন এসব দোকান বসিয়েছে তা জানে না বলে তিনি দাবি করেন।
বাজারের স্থায়ী দোকানের মালিক নজরুল অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে দোকান দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দোকানের সামনে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ইজারাদারের লোকজন অবৈধ দোকান বসিয়ে দেওয়ায় আমাদের বেচাকেনার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, বাজারটিতে যানজট মুক্ত করতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে একাধিকবার অভিযান ও জরিমানা করেছি। আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে। সড়ক দখল করে কাউকে বসতে দেওয়া হবেনা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।