আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে জমে উঠেছে পশুর হাট, চাহিদা বেশি মাঝারি গরুর

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলীতে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো। ক্রেতারা সাধ্যমতো পছন্দের পশুটি কিনছেন। শুরুর দিকে বেচাকেনা কম থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বিক্রি বাড়ছে। এবারের হাটে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি গরুর চাহিদা অনেকটা বেশি।

সরেজমিনে মইজ্জেরটেক পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের বাকি আরও এক সপ্তাহ থাকায় এখন যেসব ক্রেতা আসছেন, তারা অধিকাংশই পছন্দ করছেন মাঝারি গরু। মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি উল্লেখ করে বিক্রেতারা আরও জানান, বাজারে নানা আকারের গরু থাকলেও মাঝারি গরুর চাহিদা এবার সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে আনোয়ারার সরকার হাটের চিত্রও একই। এখানেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় কয়েক শতাধিক গরু। যেগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই মাঝারি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আগেই জমে উঠেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পশুর বাজার তৈলারদ্বীপ সরকার হাট। বাজারটিতে আনোয়ারা ছাড়াও কর্ণফুলী, বাঁশখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতাকানিয়া, কক্সবাজার জেলার পেকুয়াসহ চট্টগ্রাম নগর থেকে ক্রেতারা এসে কোরবানির পশু ক্রয় করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও কোরবানের পশু কিনতে চলে আসেন এ বাজারে। বাজারে কেউ যেন প্রতারিত না হয় সে জন্য বাজারে রাখা হয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন।

গরু ব্যবসায়ী মো. মোরশেদ বলেন, হাটে বড় ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এবার হাটে যেসব গরু বেপারিরা নিয়ে এসেছেন সবগুলোই দেশি। অধিকাংশই নিজেদের খামারের গরু। কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা আবদুর শুক্কুর বলেন, নিজের এলাকা থেকে ২৮টি গরু নিয়ে এসেছি। ১৫ মাঝারি ও বাকি গুলো বড়। মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। বড় গরুর চাহিদা কম। হাতেগোনা কিছু মানুষ বড় গরু কিনছেন। মানুষ এসে দামাদামি করছেন ঠিকই কিন্তু নিচ্ছেন মাঝারি গরু।

সরকার হাট পশুর বাজারের ইজারাদার ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গরু বিক্রি আগের থেকে বেড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে কেউ যেন প্রতারিত না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও রাখা হয়েছে। আশা করি, বিক্রেতারা স্বচ্ছন্দে ব্যবসা করতে পারবেন।

বন্দর কমিউনিটি সেন্টার মহালখাঁন বাজারের প্রথম বারের মত বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এ হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং ইউনিয়র (ইউপি) সদস্য মুছা তালুকদার বলেন, দিবারাত্রি গরুর বাজার চলছে এখানে। ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে বসানে হয়েছে সিসি ক্যামরা আর খোলা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। এ ইউনিয়নের প্রথম বাজার হিসেবে নামমাত্র হাসিলে বেশ ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে পশু।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে উপজেলায় বিভিন্নস্থানে অস্থায়ী-স্থায়ী পশুর হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও রাখা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন প্রতারিত না হয় সে জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের টিম টহলে থাকবে বলেও জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।