চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালী শঙ্খ নদীর ওপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুতে যান পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। গাড়িচালক এবং শ্রমিক নেতারা বাড়তি টোলের অভিযোগ তুললেও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে সরকারের নির্ধারিত টোল আদায় করা হচ্ছে বলে জানান।
সোমবার (৩ জুলাই) সকালে দোহাজারী সড়ক বিভাগ (সওজ) প্রকৌশলী সুমন সিংহ বরাবর বাড়তি টোল আদায় হচ্ছে এমন বিষয় উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন আনোয়ারা-পটিয়া-বাঁশখালী শ্রমিক ইউনিয়নের (পিএবি) সভাপতি মোহাম্মদ একরাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ টিপু। তবে সরকারের নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টোল আদায় সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী সুমন সিংহ।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই সেতুটি ৩৩ কোটি টাকায় জে এ ট্রেডিংয়ের প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নামে নতুন ইজারদারকে বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ ওঠে সেতুটির ইজারাদার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত দাবির কারণে চালক ও ইজারাদারের লোকজনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঘটছে বাকবিতণ্ডা। অপরদিকে স্থানীয় লোকজন সরকার হাট এলাকায় অতিরিক্ত ভাড়া না দিতে লিফলেট বিতরণ করে সকলকে সতর্কতা করছেন ।
শ্রমিক নেতা ও যানবাহনের চালকেরা অভিযোগ করে বলেন, নতুন ইজারাদাররা সেতু বুঝে নেওয়ার পর থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করে জুলুম করছেন। চালক ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইজারাদাররা গাড়িভেদে ২০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন। অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রাণলয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সেতুর ইজারাদার জে এ ট্রেডিংয়ের প্রোপ্রাইটর মো. জহির উদ্দিন বলেন, আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে আমার মামা আইনুল কবির সেতুটি ইজারা নিয়েছেন। অতিরিক্ত টোল আদায়ের সুযোগ নেই। সরকারের নির্ধারিত টোল আদায় করা হচ্ছে।
আইনুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা সরকার নির্ধারিত টোলের বাইরে কোন অতিরিক্ত টাকা আদায় করছি না। এখানে একটি গ্রুপ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।