চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চলতি মাসেই আরও ২৬ পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঘর উপহার। নির্মাণ কাজ দেখতে এলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এসময় তিনি বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর দেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও আশ্রয়হীনদের রেজিস্ট্রিকৃত জমি ও ঘর দেওয়ার নজির নেই।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশ্রাফ উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনাব নোয়াব আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ মান্নান ও উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ও স্বপ্ন হলো- বঙ্গবন্ধুর সৃষ্ট বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমি, গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্রয়হীনদের দুই শতক করে জমি দলিল করে দেওয়ার পাশাপাশি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, এ প্রকল্পের মান ধরে রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসন থেকে নজরদারী রাখতে হবে যেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভুক্তভোগীরা কোনো অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে।
সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া নতুন ঘর পাওয়ার জন্যে তালিকাভূক্ত হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তালিকাভূক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার দশ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ছোলা, দুই লিটার তেল, দুই প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়।
গুয়াপঞ্চকের গুচ্ছ গ্রামে প্রথম পর্যায়ে ১৫টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১টিসহ ২৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এবং তৃতীয় পর্যায়ে নির্মিত হবে আরও ১০টি ঘর। আগামী ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপকারভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীন এ সব পরিবারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন ঘর হস্তান্তর করবেন বলে জানান সচিব।
উপকারভোগী ছেনোয়ারা বেগম (৫৮) নতুন ঘর পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, অন্যের জমিতে ভাড়া ঘরে অসুস্থ স্বামী, ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে থাকতাম। স্বামীর অসুস্থতা বেড়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় আয়-রোজগার। তখনই চোখে অন্ধকার দেখছিলাম। নিজের একটি ঘর হবে তা ছিলো স্বপ্নের মতো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।