বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীর যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, আর্তমানবতার সেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা, অবকাঠামো নির্মাণ এবং দেশ গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী সম্মিলিত আক্রমণ করে পাক হানাদারদের ওপর। এর ফলে মাত্র ২৫ দিনের মাথায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি। জন্ম নেয় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ—বাংলাদেশ। ১৯৮০ সালে থেকে সরকার ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যদার সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করে।
এবার সশস্ত্র দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে একটি মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।’
এর আগে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। পরে তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তাঁর স্বাগত ভাষণের শুরুতেই স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহীদর ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলে অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত চট্টগ্রাম অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহুরুল হক ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. বদরুল আমিনসহ তিন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।