কোর্ট বিল্ডিংয়ের পরীর পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসককে পুনরায় চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নূরুল আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলা হয়। এর আগেও জেলা প্রশাসন বরাবর একই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিস একটি প্রথম শ্রেণিভুক্ত কেপিআই প্রতিষ্ঠান। কেপিআই নীতিমালা অনুযায়ী কেপিআই এর সীমানার বিশ মিটারের ভিতরে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে কেপিআইডিসি ডিফেন্স কমিটির মতামত বা ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হয়।
কিন্তু ব্যাংকের নতুন ভবনের উত্তর পার্শ্বে পরীর পাহাড়ের পাদদেশে ব্যাংক প্রাচীরের নিকটে আইনজীবী সমিতির স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কেপিআই নীতিমালা বিরোধী এমন কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনজীবিদের নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলো উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের নিকট চিঠি দিয়েছেন উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নূরুল আমিন।
প্রসঙ্গত, আদালত পাড়ায় আইনজীবীদের ভবন নিয়ে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির মধ্যে টানাপোড়ান চলছে দীর্ঘ দিন। সম্প্রতি আইনজীবীদের নতুন একটি স্থাপনা তৈরি নিয়ে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত। ভবন তৈরির জন্য গাছ কাটার অভিযোগে আইনজীবী সমিতি নিয়োজিত শ্রমিক আটকের ঘটনাও ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আইনজীবী সমিতির ভবনগুলো নিয়ে আবারও চিঠি দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।