মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)’র চ্যান্সেলর এবং আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ বলেছেন, সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল ডিগ্রি দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা ডিগ্রির পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্টকে প্রাধান্য দিচ্ছি। যতে মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারের ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ৫৭তম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষামেলার শেষ দিন উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। এই মেলায় অংশ নিয়েছে ডব্লিউইউএসটিসহ যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপসহ বিশ্বের ২ হাজারেরও বেশি নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি।
ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ বলেন, আমাদের ৫০ থেকে ১০০ ভাগ স্কলারশীপের ব্যবস্থা রয়েছে। যারা গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে তারা আমাদের এই সুযোগটা নিতে পারবে। আমাদের এখানে আইটি, সাইবার সিকিউরিটি, কম্পিউটার সায়েন্স, এমবিএ, বিবিএ রয়েছে। যে কেউ এখাওনে পড়াশোনা করে নিজেকে দক্ষ গ্লোবাল কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় চাই শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে। যা কাজে লাগিয়ে তারা যে কোন জায়গায় চাকুরি নিতে পারে। আমাদের এখানকার শিক্ষকের ৪-৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা অত্যন্ত যত্নের সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।
তিনি বলেন, মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে যা দরকার সেটা আমরা ক্লাস রুমে নিয়ে এসেছি যার ফলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে এবং আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এসে ভর্তি হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সফলতা। এবং আমাদের ভার্সিটি থেকে বের হয়ে তারা আমেরিকার মেইনস্ট্রিমে জব করছে।
আবু বকর হানিপ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের তিনটি প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস ও এগ্রিকালচার। কিন্তু ইনফরমেশন টেকনোলজিও (আইটি) দেশের অর্থনৈতিক চেহারা আরও দ্রুত পাল্টে দিতে সক্ষম। এজন্য বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আইটি ক্ষেত্রে ভারত যে জায়গাটি দখল করেছে, বাংলাদেশও তা করতে পারে। এজন্য গ্র্যাজুয়েশনের আগেই দরকার হাতে-কলমে শিক্ষাদান। এতে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পও আরও বেগবান করা সম্ভব। বিদেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশিরা এসে চাকরি করতে পারেন। এমনকি বাংলাদেশে থেকেও একজন ব্যক্তির প্রতি মাসে ২-৩ লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
এ সময় দৈনিক চট্টগ্রাম খবরের নির্বাহী সম্পাদক এবং ডব্লিউইউএসটির সাবেক এমবিএ শিক্ষার্থী শেখ আকিজ, পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, চীফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ,ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাছুমা ভুঞা ফারহাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ২০২১ সালে ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানা নেন। ২০২১ সালে তিনশো ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে আবুবকর হানিপ তার যাত্রা শুরু করেন। দুই বছরের ব্যবধানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাড়িয়েছে এখন ১৮শ’র বেশি। এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা চারগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।