আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্য বদলানো। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বাবা যে কাজটা শুরু করেছিলেন সেটা সম্পন্ন করা।
রোববার (২ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার দোয়া-আর্শীবাদ চাই আমার বাবার স্বপ্ন যেন পূরণ করতে চাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমিও আমার বাবার মতো জীবনটা উৎসর্গ করেছি এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে। আজকে সেই কষ্ট-ব্যথা বুকে নিয়েই আমার প্রতিজ্ঞা হচ্ছে, এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যেন আর কখনো কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এদেশ হবে ক্ষুধা মুক্ত-দারিদ্রমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ একটি জাতি।
জনকল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার বাড়ি, আমার খামার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন আমার গ্রাম, আমার শহর, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেশ পরিচালনা করে; অন্তত ২০০৯ এ সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত এই সাড়ে ১৪ বছরে কিন্তু বাংলাদেশ বদলে গেছে। এটা স্বীকার করতেই হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রাম এখন আর গ্রাম নাই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি, রাস্তাঘাট উন্নতি করে, সব জায়গায় আজকে একটা উন্নয়ন আমরা করতে পেরেছি। আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে সবাই।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, একটা দেশের উন্নতি করতে হলে দেশটাকে জানতে হয়। আমার সৌভাগ্য আমি ১৯৮১ সালে আসার পরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমি ঘুরেছি। বাংলাদেশের বোধ হয় কোনো অঞ্চল বাদ নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, মাইলের পর মাইল কাদা পানিতে পায়ে হেঁটেছি, নৌকা, সাম্পান, মাছে ট্রলার, কোনোটায় চড়ি নাই, ভ্যান, ডিঙি নৌকা। সবকিছুতে চড়ার অভিজ্ঞতা আছে। এভাবে বাংলাদেশ ঘুরেছি, বাংলাদেশকে দেখেছি। বুঝে বুঝে কর্মসূচি নিয়ে আজকে বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি।
মতবিনিময় সভায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ।
এর আগে গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরের অংশ হিসেবে শনিবার (১ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া যান। সেখানে তিনি নবনির্মিত কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কোটালীপাড়ার কর্মসূচি শেষে দুপুরের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা টুঙ্গিপাড়ার নিজের গ্রামের বাড়িতে যান এবং রাতে সেখানে অবস্থান করেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচি শেষে বিকেলে গণভবনে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।