দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেছেন, জোটের সঙ্গে আসন সিদ্ধান্ত না হওয়ার কোন কারণই নাই, আমি জেনে শুনে কথা বলি, না জেনে কথা বলি না। জোট ছিল, জোট আছে, জোট থাকবে। তাছাড়া নৌকা নিয়ে আমিই নির্বাচন করবো এবং ১৪ দলীয় জোটের যারা শরিক তারা সবাই নৌকার প্রতিনিধি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, ফটিকছড়ি আসন জোটের আসন। আর জোট এখনো বহাল আছে। জোটের কয়েকটা দল ছাড়া সবাই নৌকা চাচ্ছে। এতোগুলো দলকে তো নৌকা দেওয়া সম্ভব না। নৌকার প্রার্থী এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নৌকার চিঠি আরেকটা পরে দেবে। সেই চিঠিতে আমরাই নির্বাচন করবো, ২০১৪ সালে করেছি, ১৮ সালে করেছি, ইনশাআল্লাহ ২৪ সালেও করবো।
তিনি আরও বলেন, ফটিকছড়ি আসনে আমার ভাইপোসহ যারা দাঁড়াচ্ছে, আমি আওয়ামী লীগের সনিকেও স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে চিন্তা করলে হবে না। চিন্তা করতে হবে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কি। নির্বাচনের পরে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ৷ বহির্বিশ্বসহ বড় যুদ্ধ আসবে। তখন সেই যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কি একা মোকাবিলা করবে নাকি জোট নিয়ে করবে। এটি বুঝতে হবে, তখন জোট না থাকলে আওয়ামী লীগ একা হয়ে যাবে। সুতরাং বাস্তবতার নিরিখে জোট থাকবে।
সৈয়দ নজিবুশ বশর মাইজভান্ডারি ২০১৪ সাল থেকে জোট সমীকরণে চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুবার নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এবার আসনটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। যদিও তিনি ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও জোটের কাছে ছেড়ে দিতে হয় আসনটি। এবারও অপেক্ষা জোটের সিদ্ধান্তের। অতীত হিসেব পর্যালোচনা করলে এবারও আসনটি জোটের শরিক তরিকতের নজিবুল বশরকে ছেড়ে দিতে হতে পারে।
এদিকে মনোনয়ন জমার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত আসনটি দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছে বলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সুত্র জানা যায়।
মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন পর্যন্ত যারা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ১৪–দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির চেয়ারম্যান ড. সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিউল আলম চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ শাহজাহান, মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী,গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ হামিদুল্লাহ মনোনয়ন জমা দেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।