এককালীন বিনিয়োগে ‘হালাল’ আয়ের সুযোগ উইকন প্রপার্টিজে

চট্টগ্রাম রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৫

হালাল বিনিয়োগের উৎসের খোঁজে অনেকটা সময় চলে যায় আমাদের। আবার উৎস পেলেও জড়িয়ে থাকে অতিমাত্রার ঝুঁকি। বিনিয়োগ করছি করছি বলে অলস পড়ে থাকে জমানো বা পেনশনের অর্থ। আর মানুষের এসব অর্থের সঠিকভাবে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিচ্ছে উইকন প্রপার্টিজ, থাকছে হালাল উপায়ে সর্বোচ্চ আয়েরও সুযোগ। মূলত এককালীন অগ্রিম পরিশোধে ফ্ল্যাট ক্রয়ের মাধ্যমে গ্রহকরা এই সুবিধা পেতে পারেন। এরমাধ্যমে গ্রাহকরা যেমন আকর্ষণীয় মূল্যছাড় পাবেন তেমনি মাসিক ভিত্তিতে ‘ভাড়া’ আয়ের মাধ্যমে উপার্জনের সুযোগ পাবেন। যা শতভাগ হালাল এবং অন্যান্য বিনিয়োগের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের মেহেদীবাগস্থ প্রতিষ্ঠানটির হেড অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক স্থপতি মেহেদী ইফতেখার। এতে আগামী ১৩ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম রিহ্যাব ফেয়ার এবং উইকন প্রপার্টিজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—পিটুপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম আলভী, পিটুপি ফ্যামিলির পরিচালক স্থপতি মেহেদী ইফতেখার, পিটুপি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশনের পরিচালক প্রকৌশলী নাজিম উদ্দীন, পিটুপি ফ্যামিলির গ্রুপ সিওও মেজর মোহাম্মদ আমিনুল হক (অব.), উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেডের সিটিও প্রকৌশলী দেবাশীষ পাল, হেড অব বিজনেস নাজমুল বিন আবেদীন, উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেডের জিএম (অপারেশন) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, পিটুপি ফ্যামিলির গ্রুপ ডিজিএম রামেন দাশ গুপ্তসহ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

স্থপতি মেহেদী ইফতেখার বলেন, একজন গ্রাহক এককালীন অর্থ দিয়ে আমাদের থেকে ফ্ল্যাট কিনে মাসিক ভাড়া আয় পেতে পারেন। আমরা সব সময় চািই গ্রহকদের কম মূল্যে সেবা পৌঁছে দিতে। ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে সুদ ব্যয় বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ফ্ল্যাটের ব্যয়ে। যদি গ্রহকরা ফ্ল্যাট তৈরিতে অগ্রিম বিনিয়োগ করেন তাহলে আমাদের ব্যয় কম হয়। যার ফলে আমরা স্থাপনার গুণগত মানে বাড়তি নজর দিতে পারি। সেই সাথে ফ্ল্যাটের দামও কম রাখতে পারি। এ ছাড়া গ্রহকরা ফ্ল্যাট প্রস্তুত হওয়া পর্যন্ত তার বিনিয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করতে পারেন।

তিনি বলেন, আমরা মূলত ‘বেনিফিট শেয়ার’ করছি। গ্রহকের অর্থকে মূলধনে রূপান্তর করে ব্যয় সংকোচন করছি এবং স্থাপনার মান বাড়াচ্ছি। যার মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠান এবং গ্রহক যেভাবে উপকার লাভ করছে তেমনি অর্থেরও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে।

এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়। যেখানে রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৫ এ উইকন প্রপার্টিজের অংশগ্রহণ ও প্রতিষ্ঠানটির পথচলার গল্প তুলে ধরা হয়। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি কনসালটেন্সি ও কন্সট্রাকশানের পর পদার্পন করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। ইতিমধ্যে সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি বেশকিছু প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২৫টি প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। যেসব স্থাপনা তৈরি হচ্ছে স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব এবং টেকসইভাবে।

২০২৫ সালে কোয়ালিটিতে প্রথম হতে চায় উইকন প্রপার্টিজ
এককালীন বিনিয়োগে ‘হালাল’ আয়ের সুযোগ উইকন প্রপার্টিজে 1

উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড ২০২৫ সালের মধ্যে রিয়েল এস্টেট খাতে কোয়ালিটিতে শীর্ষস্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র আধুনিক নির্মাণ এবং টেকসই অবকাঠামো নয়, বরং প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত জীবনযাত্রার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করছে। উইকন প্রপার্টিজ তাদের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আগামী বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চায়।

প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্পগুলোতে স্মার্ট হোম সিস্টেম, সোলার প্যানেল, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে, যা গ্রাহকদের একটি উন্নত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করবে। স্মার্ট হোম সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের বাড়ির আলোর নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, সবকিছুই একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে।

উইকন প্রপার্টিজ বিশ্বাস করে, ভবিষ্যত উন্নয়ন এবং স্থায়ীত্বের জন্য তাদের পরিবেশবান্ধব প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্পগুলিতে সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা ও বিদ্যুৎ খরচে সাশ্রয় নিশ্চিত করবে।

শরিয়াহ-সম্মত বিনিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে তারা গ্রাহকদের জন্য ঝুঁকিমুক্ত এবং নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। উইকন প্রপার্টিজের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে—এটা শুধু একটি বাড়ি নয়, বরং একটি সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। তাদের নির্ভরযোগ্যতা, সেবার মান এবং ব্যবসায়িক শুদ্ধতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়াচ্ছে।

এছাড়া, উইকন প্রপার্টিজ তাদের প্রকল্পগুলিতে ২৪/৭ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সিসিটিভি নজরদারি, বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস, এবং সাশ্রয়ী পানি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা উপস্থাপন করছে, যা আধুনিক জীবনযাত্রার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

উইকন প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা শুধু সম্পত্তি বিক্রি করি না, আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করি। ২০২৫ সালে, আমরা কেবল কোয়ালিটি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষিত বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের বাজারে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে চাই।

রিহ্যাব ফেয়ারে থাকবে উইকন প্রপার্টিজের এক্সপার্ট, মিলবে পরামর্শও

এককালীন বিনিয়োগে ‘হালাল’ আয়ের সুযোগ উইকন প্রপার্টিজে 2

রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৫-এ উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড তাদের এক্সপার্টদের নিয়ে উপস্থিত থাকবে। যারা রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ প্রদান করবেন। যে কেউ নতুন বাড়ি বা বাণিজ্যিক স্থাপনা সম্পর্কে জানতে পারবেন সেসব বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে।

উইকন প্রপার্টিজের এক্সপার্টরা রিয়েল এস্টেট বাজার, বিনিয়োগের সঠিক সময়, আধুনিক স্মার্ট হোম সলিউশন এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবেন। তারা গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রকল্প এবং বিনিয়োগের জন্য সহায়তা করবেন, যা ভবিষ্যতের সুরক্ষিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করবে।

এছাড়াও, রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৫-এ উইকন প্রপার্টিজ তাদের নতুন প্রকল্পগুলির ওপর বিশেষ ডিসকাউন্ট, সহজ কিস্তি সুবিধা এবং বুকিং-এর অগ্রাধিকার সুবিধা প্রদান করবে। এগুলোর মাধ্যমে, ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত, স্মার্ট হোম এবং বাণিজ্যিক স্পেসে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু-তে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২৫। আবাসন ব্যবসয়ীদের শীর্ষ সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের (রিহ্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত চার দিনব্যাপী এই ফেয়ার চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
২০১৫ সালের শেষ দিকে আবাসন খাতের সোনালি দিনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রামে আয়োজিত হচ্ছে রিহ্যাব মেলা। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১৬টি মেলা করেছে রিহ্যাব। রিহ্যাব ২০০৪ সাল থেকে বিদেশে হাউজিং ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১২টি, যুক্তরাজ্য, দুবাই, ইতালির রোম, কানাডা, সিডনি ও কাতারে একটি করে এবং দুবাইয়ে দুটি ‘রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার করেছে। এসব ফেয়ার আয়োজনের ফলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের গৃহায়ণশিল্পের বাজার বাড়ছে। প্রবাসী ক্রেতারা সহজে দেশে তাদের পছন্দের আবাসন বেছে নিতে পারছেন। এর ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসছে দেশে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।