আমরা সব সময় ডিজিটাল ও দক্ষতা নির্ভর পড়াশোনায় জোর দেই—লায়ন এম কে বাশার
দেশের শিক্ষা খাতে দীর্ঘদিন ধরে অবদান রেখে চলেছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বিএসবি ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত এই স্কুলের শাখা রয়েছে পুরো দেশে। যেখানে প্রতি বছর গড়ে তুলা হচ্ছে হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীদের। এবার বছরের শুরুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুলিয়ায় নতুন শাখা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তায় এই শাখায় পাঠদান করানো হবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ব্রহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জেরে গোলচত্বরে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ভবনে নতুন এই শাখার উদ্বোধন করা হয়। বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশারের সভাপতিত্বে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন লায়ন মোহাম্মদ ফারুক। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ প্রায় ৮শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সরজমিনে দেখা যায়, নতুন বছরের নতুন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে আসার প্রস্তুতি শুরু হয়। এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিষ্ঠারনটির মনোরম পরিবেশে ভিড় জমান শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। পরে শুভেচ্ছা, বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমেজ বাড়িয়ে দেয় ‘বই উৎসব’। এদিন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন। আর বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, বছরের প্রথম দিন নতুন বই পড়াশোর প্রতি বেশি আগ্রহী করবে। সেই সাথে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ আনন্দেরও খোরাক বলে মনে করছেন তারা।
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার বলেন, আজ থেকে ৩ মাস আগে আমরা সিদ্ধান্ত নেই এখানে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হবে। আজকে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করেছি, আজ থেকে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হলো। এ যাত্রায় আমাদের সাথে প্রায় ৬শ শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছেন। আমরা সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ প্রতিষ্ঠান হওয়ার পেছনে যাদের অবদান রয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছে। গত বছর শুধু ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে চালু হলেও এ বছর ৮ম ও ৯ম শ্রেণিসহ সকল শিক্ষার্থীদের জন্য এ পদ্ধতি চালু হয়েছে। নতুন দেওয়া বইগুলোও নতুন কারিকুলামে তৈরি। আমরা নতুন কারিকুলামের কথা চিন্তা করে এমন শিক্ষকদের আমাদের দলে রেখেছি যারা তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ। আমরা আশা করছি তাদের হাত ধরে শিক্ষার্থীরা অনেক ভালোভাবে গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় ডিজিটাল ও দক্ষতা নির্ভর পড়াশোনায় জোর দেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা সনদ অর্জনের পাশাপাশি দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের শিক্ষার্থীরা অন্যদের চেযে এক ধাপ এগিয়ে থাকবে।
লায়ন বাশার বলেন, সময়কে মূল্য দিতে হবে। কোনভাবেই এর অপচয় করা যাবে না। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সেরে নিতে হবে, না হয় পরে পিছিয়ে পড়াদের কাতারে নিজেকে আড়াল করতেই পুরো জীবন চলে যাবে। তাই আমাদের এখন থেকে আরও বেশি উদ্যমী হতে হবে।
এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা পদ্ধতি, বিভিন্ন কোর্স, শিক্ষকসহ যাবতীয় বিষয় তুলে ধরেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়ন খন্দকার সেলিনা মোশাররফ, বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের ডিরেক্টর মাহাবুব হাসান লিংকন, স্থানীয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনিসুর রহমানসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ (বিএসবি) ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শান্তির জন্য শিক্ষা, আত্মনির্ভরশীলতা ও বৈশ্বিক সুযোগ- এ শ্লোগান নিয়ে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিতকরণের লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।