জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সমন্বিত চিকিৎসা চলছে। সংকটাপন্ন ৮ অগ্নিদগ্ধকে ইতোমধ্যে আমরা হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশসেরা চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন ও তার টিম আগামীকাল সকালের প্রথম ফ্লাইটে চট্টগ্রামে এসে রোগীদের চিকিৎসার কাজ শুরু করবেন।
রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় চমেক হাসপাতালের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। আমরা ১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকীদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীতাকুণ্ডে সংঘটিত দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনীকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে আমরা সমন্বিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছি।
এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজ ১৩ জনের পরিবারকে এই টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের ৫০ হাজার ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। রোববার বিকেলেও থেমে বিষ্ফোরণ হচ্ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ভোর বেলা নিহতের সংখ্যা ৪ চাকলেও দিনের আলোর সাথে বাড়তে থাকে লাশের মিছিল। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেটা অর্ধশতে গিয়ে ঠেকে। মৃত্যুর মিছিল দির্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।