ইসরাইলের বিরুদ্ধে গত ১ অক্টোবর ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইরান। পাল্টা জবাবে ইরানের তেল অবকাঠামোতে হামলা চালাতে পারে ইসরাইল, এ আশঙ্কায় দ্রুত বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম।
তবে ইসরাইল ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তাই তেলের দাম ফের কমতে শুরু করেছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ায় জ্বালানি তেলের দাম পুনরায় কমছে। আপাতত তেল সরবরাহকারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। কারণ শনিবার ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইসরাইল। এতে তেল স্থাপনাগুলোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইতোমধ্যেই কমতে শুরু করেছে তেলের দাম। এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে ইসরাইল সম্ভবত বিস্তৃত যুদ্ধ এড়াতে তার প্রতিশোধ সীমিত করবে।
ব্রেন্ট ক্রুড তেলকে আন্তর্জাতিকভাবে তেলের দাম মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি বলে বিবেচনা করা হয়। এ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৪ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ৪.০২ শতাংশ কমে এখন ব্যারেলপ্রতি মূল্য ৭২ দশমিক ৯৯ ডলার।
আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি এখন ৪.১৭ শতাংশ কমে এখন ৬৮ দশমিক ৭৯ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্যানুসারে, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। ওপেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তেল উৎপাদনে দেশটির অবস্থান তৃতীয়।
ইরানের তেল অবকাঠামোতে ইসরাইল হামলা চালাক, সেটা চায়নি মার্কিন প্রশাসন। কারণ মার্কিন নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে এ ধরনের হামলা হলে তেলের দাম বেড়ে যাবে। তাতে মার্কিন ভোটে প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া উপসাগরীয় দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল, ইসরাইল যেনো তেল অবকাঠামোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু না করে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।