উড়িরচরে শ্বশুরের হাতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ খুন

সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরে পারিবারিক কলহের জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে শ্বশুর নুর ইসলামের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধুর নাম কুলসুমা বেগম (১৮)। তিনি উড়িরচরের কলোনী বাজার এলাকার আনোয়ারের সন্তান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আজিম উদ্দিন অন্তরের সাথে কুলসুমার বিয়ে হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতের স্বামী চট্টগ্রাম শহরে চাকুরি করেন। বিয়ের পর থেকে পরিবার চালানোর জন্য কোন টাকা দিতেন না। যার ফলে ওই গৃহবধূর সাথে তার শ্বশুর প্রায়ই ঝামেলা করতো। গৃহবধূর বোবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ প্রয়োগ করতো। বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূ বাপের বাড়ি যাওয়ার সময় তার শ্বশুর শারীরিক নির্যাতন করে। এতে তার মৃত্যু হয়।

সন্দ্বীপ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই জসিম দৈনিক চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, উড়িরচর পুলিশ পাড়ি থেকে এ হত্যাকাণ্ডের কথা জানানো হলে আমরা গৃহবধুর লাশ সন্দ্বীপ থানায় নিয়ে আসতে বলি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সন্দ্বীপের দীর্ঘপাড় ঘাটে লাশ পৌঁছালে সেখান থেকে আমরা সন্দ্বীপ থানার টিম মরদেহ গ্রহণি করি। বর্তমানে লাশ সন্দ্বীপ থানার হেফাজতে আছে।

তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কি কারণে এ গৃহবধূর মৃত্যু সেটি মরদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুরকে সন্দ্বীপ থানায় আটক রাখা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে নিহত কুলছুমার পিতা আনোয়ার বলেন, আমার মেয়ে একমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। মেয়ের বিয়ে হয়েছে এখন ৩ মাস। এই অল্প সময়ে মেয়েকে মানসিক যন্ত্রণায় রেখেছে তারা। প্রতিনিয়ত যৌতুকসহ বিভিন্ন বিষয়ে মেয়েকে নির্যাতন করত। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।