বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে হলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মস্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে হলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ভূমিকা রাখতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সহযোগী সহস্থাসমূহ এবং জনগণকে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকের যে রাজস্ব আয় আছে তা থেকে ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬ টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অনেকগুলো জনসেবামূলক প্রকল্প পরিচালনা করছে৷ এগুলো পরিচালনার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে চসিকের উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। চসিকের রাজস্ব আয় বাড়াতে আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেলে চসিক স্বাবলম্বী হবে, বাড়াতে পারবে সেবা কার্যক্রম৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, চসিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যয় করে তা যাতে কোন চাপ তৈরি না করে সেজন্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করতে হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে। বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি রুটিন ওয়ার্কগুলো যাতে ভালভাবে হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সভায় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে সম্পাদিত ও চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চসিকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদসহ প্যানেল মেয়রবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দ, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিম এ খান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহসহ চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।