চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলে বনভূমি দখলের মামলায় ইউনিটেক্স গ্রুপের পরিচালক (লিগ্যাল এণ্ড এস্টেট) ফারহান আহমেদ (৫৫) র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন। রোববার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় নগরীর গোয়াছি বাগান এলাকার বাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৭ এর একটি দল।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে তাকে সীতাকুণ্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন বন বিভাগের মামলায় ফারহান আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে দলবল নিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে বনের জায়গা দখল, বনভূমিতে জোরপূর্বক বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা ও মাটি খননের ঘটনায় ইউনিটেক্সের ২ শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে আসামী করে গত ৬ জুন চট্টগ্রাম বন আদালতে মামলা দায়ের করে উপকূলীয় বন বিভাগ।
গত ২৫ জুন এ মামলার পিওআর (প্রসিকিউশন অফেন্স রিপোর্ট) দাখিল করে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ মামলার ১ নম্বর আসামী করা হয়েছে ইউনিটেক্সের পরিচালক (লিগ্যাল এণ্ড এস্টেট) ফারহান আহমেদকে। তার নেতৃত্বেই বন দখল, বাঁধ নির্মাণ ও মাটি খননের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, কোম্পানির এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার গোলাম মাওলা, বাড়বকুণ্ডের দক্ষিণ মাহমুদাবাদের মোঃ খোকনের ছেলে মোঃ নয়ন (৩২), মিয়াজী পাড়ার সিরাজুল হকের ছেলে জাহিদুল করিম (৪৫), একই এলাকার ফসিউল আলমের ছেলে মেহেদী হাসান (৩০), বাড়বকুণ্ডের দক্ষিণ মাহমুদাবাদের আমিনুল হকের ছেলে মোঃ মাসুদ (৪০)।
এদের মধ্যে জাহিদুল করিম, মেহেদী হাসান ও মোঃ মাসুদ (৪০) ১৩ জুলাই বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। তবে এখনও অধরা রয়ে গেছেন ২ নম্বর আসামী ইউনিটেক্সের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার গোলাম মাওলা ও মোঃ নয়ন।
মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯২৭ সনের (২০০০ সালে সংশোধিত) বন আইনের ২৬ (১ ক) ধারায় ও ঙ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।