চট্টগ্রামের রাউজানে অপহরণের শিকার কলেজ শিক্ষার্থী শিবলী সাদিক হৃদয়ের (২০) খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হৃদয় উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মো. শফিক ড্রাইভারের ছেলে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকা থেকে এক সন্ত্রাসীর দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাতে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
এদিকে হৃদয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতা উমংচিং মারমা নামে এক সন্ত্রাসীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এসময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে এবং পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান রাউজান থানারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল্লাহ আল হারুন।
ওসি হারুন বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট রাতে হৃদয় অপহরণের শিকার হয়। ঘটনার পর আমরা দুই জনকে আটক করে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রোববার আমরা উমংচিং মারমা নামে আরও এক জনকে আটক করি। আজ ভোরে তার দেয়া তথ্যমতে কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে যাই। অভিযানে উমংচিং মারমার দেখানো বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবক হৃদয়ের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক নারীসহ স্থানীয়রা আমাদের পথরোধ করে গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী হৃদয় পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করতো। খামারে উপজাতি শ্রমিকদের সঙ্গে তার ঝগড়া হলে মালিক পক্ষ তা মিটমাটও করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু গত ২৮ আগস্ট রাতে ওই মুরগির খামার থেকে তাকে অপহরণ করে দুই দিন পর অপহরণকারীরা তার পরিবারে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার অপহরণকারীদের সাথে কথা বলে ২ লাখ টাকায় রাজি হয়।
হৃদয়ের বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়া নামক স্থানে গিয়ে দুইজন লোকের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দিলেও তারা হৃদয়কে মুক্তি দেয়নি। ছেলেকে ফেরত না পেয়ে হৃদয়ের পিতা শফি ড্রাইভার থানায় অভিযোগ করেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।