একুশে পদকে ভূষিত বরেণ্য সাংবাদিক ও দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেককে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুর বারোটায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতির ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ও ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক দৈনিক আজাদী বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ মালেক বলেন, পদক পাওয়ার আশা নিয়ে কোনো কাজ করলে পদক আপনি পাবেন না। কাজ করতে হবে নিঃস্বার্থভাবে। তাহলেই পদক আপনার কাছে আসবে।
তিনি বলেন, আমি কখনোই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়েও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংবর্ধিত হতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আজাদী এমন একটি পত্রিকা যেটি না হলে আমাদের সকাল শুরু হয় না। আমি দেখেছি আমার বাবা সকালে একহাতে বিস্কুট দিয়ে চা খেতেন আরেক হাতে আজাদী নিয়ে পড়তেন।
তিনি বলেন, মালেক ভাই শুধু যে একজন সাংবাদিক তা না। তিনি জন্মগতভাবেই একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তা সত্বেও তিনি সর্বস্তরের মানুষের প্রতি যে বিনয় আচরণ করেন তা সত্যিই প্রসংসার দাবিদার।
তিনি আরো বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ মালেককে সংবর্ধিত করতে পেরে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ই সম্মানিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার এসএম মনিরুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এম এ মালেকের দুই সন্তান ওয়াহিদ মালিক ও শিহাব মালিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের দশজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।