বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকরা জাতীয় হজ নীতির আলোকে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রী কোটা সর্বনিম্ন ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন করার দাবি জানিয়েছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ হজযাত্রী নিবন্ধনের চূড়ান্ত সময়সীমা শেষ হতে যাচ্ছে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এজেন্সি প্রতি হজযাত্রী সংখ্যা ১০০০ জন নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা নিয়ে এজেন্সিগুলোর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক যৌথ বিবৃতিতে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী হজ্জ এজেন্সি মালিকবৃন্দ’ এ দাবি জাান। তারা বিগত বছরগুলোর মতো চলতি বছরেও এজেন্সি প্রতি সর্বোচ্চ ৩০০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রীর কোটাভিত্তিক নিবন্ধন পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবি জানান।
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আখতার উজ্জামান বলেন, একই এজেন্সির মাধ্যমে অতিরিক্ত সংখ্যক হজযাত্রী প্রেরণ করলে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। এটি হজ ব্যবস্থাপনার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে।
এজেন্সিগুলো অভিযোগ করেছে, এ বছর প্রতিটি এজেন্সির হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করার দায়িত্ব মাত্র ৫ জন প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্পন্ন করার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা অসম্ভব এবং অযৌক্তিক একটি পদ্ধতি বলে মনে করছেন এজেন্সি মালিকরা।
আখতার উজ্জামান আরও বলেন, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী এজেন্সিগুলোকে নিজেদের হাজীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করার সুযোগ দিলে সেবা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
বিবৃতিতে তারা প্রধান উপদেষ্টা এবং ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ‘রোড টু মক্কা সার্ভিস’ প্রথা বাতিল করা এবং জাতীয় হজ্জ নীতির আলোকে এজেন্সি প্রতি ১০০ থেকে ৩০০ জন হজযাত্রীর কোটা পুনর্বহাল করা হোক।
হজযাত্রী নিবন্ধন এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল এবং সেবামূলক করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন এজেন্সি মালিকরা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।