চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বাবর আলীর এভারেস্ট এবং লোৎসে পর্বতের চূড়ায় আরোহণের খবর পুরো দুনিয়া জেনেছে। আর নিজ জন্মভূমি চট্টগ্রামে তাকে নিয়ে আনন্দে আত্মহারা সকল পেশার মানুষ। তার এই অর্জনের উদযাপন যেন থামছেই না। ৪ জুন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি’ অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য ৭ বিশিষ্টজনের সঙ্গে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রোমাঞ্চকর সেই গল্প শুনান তিনি।
ঠিক একদিন পর ৫ জুন (বুধবার) নিজের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৬৬ তম ব্যাচের অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এভারেস্ট জয়ের গল্প শোনান।
অনুষ্ঠানে নিজের বাবা-মায়ের পাশাপাশি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, উপাধাক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমানসহ চমেকের বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসকবৃন্দ।
চমেকের শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৬৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে ডা. বাবর আলীর মাথা চমেকের লোগো খচিত একটি নান্দনিক টুপি পরিয়ে, ক্রেস্ট হস্তান্তর করে তাকে সম্মান জানানো হয়। এছাড়া তাকে নিয়ে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়।
তাকে নিয়ে এমন আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাই ডা. বাবর বলেন, দেশে ফিরে আসার পর থেকে নানান অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু নিজ মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে ফেরার আনন্দটাই অন্যরকম। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আমি। আজ অডিটোরিয়ামে গিয়ে দাঁড়ালাম ৬৬তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে। বাবা-মাকে নিয়ে নিজের অডিটোরিয়ামের মঞ্চে দাঁড়ানোর অনুভূতিই অনন্য। অভিযানের গল্প নবীনদের সামনে উপস্থাপনের পরে প্রিন্সিপাল ম্যাডাম আর চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসেই আনন্দ র্যালি। আর সাথে আমার ৫১তম ব্যাচের বন্ধুদের একসাথে পেয়ে দীর্ঘক্ষণ আড্ডা। এমন দিন খুব বেশি একটা আসে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় বাবর আলী এভারেস্টে চূড়ায় আরোহণ করেন। ঠিক দুই দিন পর ২১ মে ভোর ৬টায় তিনি পৃথিবীর চতুর্থ সর্বোচ্চ পর্বত লোৎসের চূড়ায় আরোহণ করেন। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ডা. বাবর এক অভিযানে দুটি ৮ হাজার মিটারের বেশী উচ্চতার পর্বত আরোহণ করে রেকর্ড গড়েন।
তিনি চট্টগ্রামের পর্বত আরোহীদের একমাত্র ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তার এই অর্জনে ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সও নানা আয়োজন করেছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।