মোহাম্মদ খেরশেদ আলমের (৪৫) পড়াশোনা এসএসসি পর্যন্ত। আর নামের আগে ডা. লিখে পরে যুক্ত করেছেন চিকিৎসা বিদ্যার অনেকগুলো ডিগ্রি। এই প্রতারক ২০০৭ সাল থেকে প্রায় দেড়যুগ মানুষকে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করেছে নিওরোজি বিশেষজ্ঞ সেজে! অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতারক খোরশেদকে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। এসময় বিভাগীয় পলিচালক (স্বাস্থ্য) জনাব ডা. মোঃ মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রতারক খোরশেদ চকবাজারের পারেড কর্ণারে একটি আবাসিক ভবনে অন-কলে চিকিৎসা প্রদানের জন্য আসেন। তার প্রেসক্রিপশনে সন্দেহ হলে ভবনের বাসিন্দা উনার পরিচিত এক চিকিৎসককে অবহিত করেন। উক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ওনাকে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য পলিচালককে জানান।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মহোদয় জেলা প্রশাসক স্যারকে জানালে আমার ওপর দায়িত্ব পড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি নিশ্চিত হই খোরশেদ একজন প্রতারক। এরপর বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ অনুযায়ী কোন মেডিকেল ডিগ্রি ছাড়া এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চিকিৎসা প্রদানের অপরাধে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এইচএসসির গণ্ডি পার হতে না পারা খোরশেদ নামের সঙ্গে এমবিবিএস (ঢামেক), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি), ফেলো ইটারনেশনাল নিউরোলজি (প্রকৃত শব্দ হবে ইন্টারভেনশনাল নিওরোলজি) ডিগ্রীসমূহ উল্লেখ করে চিকিৎসা সেবার নামে ২০০৭ সাল থেকে প্রতারণা করে আসছে।
প্রতারক খোরশেদ কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামের সরাইপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। এর আগে ২০০৭ ও ২০১১ সালে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলো খোরশেদ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।