সারাদেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, এ বছর পাস করেছে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এসএসসিতে পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছর চট্টগ্রামে পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।
এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হারের মতো কমেছে জিপিএ-৫ও।
সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন, চট্টগ্রামে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন। যা গতবছর ছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। এবার জিপিএ ৫ গত বৎসরের তুলনায় ৭ হাজার ২১৪ জন কম। বিজ্ঞানে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ জন, মানবিকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪১৭ জন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ মোট ১১টির মধ্যে এ বছর শতভাগ পাস করেছে ২ হাজার ৩৫৪ টি প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে একজনও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮টি। শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে চট্টগ্রামে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৫টি।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৩১৬ জন এবং ছাত্রী ৮৬ হাজার ৫০৩ জন।
এ বছর বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৬ দশমিক ৮১। মানবিকে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা গত বছর ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ০৬ শতাংশ, যা গত বছর ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর এবছর সব বিষয়ে এবং পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। তাই পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। তবে সামগ্রিক চিন্তা করলে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।