এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ সেমিনার

চট্টগ্রাম ইন্ট্যারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ (এসডিজি ৩) বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের কনফারেন্স হলে এই সেমিনার সম্পন্ন হয়েছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া।

মুখ্য আলোচক ছিলেন—চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইমরান বিন ইউনুস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইন্ট্যারনেশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুর রাজ্জাক খান।

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষাবিদ প্রফেসর এওয়াইএমডি জাফর, এনুমিয়া আয়েশা খাতুন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাহী, পাবলিক হেলথ ফোরাম, চট্টগ্রাম’র সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. দেওয়ান মো. আসাদুল্লাহ, কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা’র প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ ওবায়দুল হক মনি, মানবাধিকার সংগঠক লায়ন সাজ্জাদ উদ্দিন, উন্নয়ন সংগঠক সোহেল আক্তার খান, সমাজকর্মী জিএম সাইদুর রহমান মিন্টু, উদ্যোক্তা শাহাদাত বিন আশরাফ সায়মন, অর্থনীতিক সৈয়দ মিনহাজুর রহমান, নেছার আহমেদ খান, একিউএম মোছলেহ উদ্দিন, সংস্কৃতি কর্মী শহিদুর রহমান খোকন, বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট তাসমিয়া রহমান, জাহাঙ্গীর স্মৃতি যুব সংসদ’র সভাপতি মো: আলমগীর, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে কায়ুমুর রশিদ বাবু, রাইহান ইসমাইল, শেখ আব্দুল্লাহ ইয়াছিন, আসিফ করিম সাকিব, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ প্রমুখ।

সেমিনারে প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, স্বাস্থ্য পরিসেবা বিদ্যমান রাজধানী বা মহানগর কেন্দ্রিক যা আমলা নির্ভর, স্বজনপ্রীতি, যা দুর্নীতির একদা আকরে পরিণত হয়। তা আজ বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্বায়ত্ব শাসনের অভিবৃদ্ধি করা জনগণ ও রোগীদের জন্য অর্থপূর্ণ ও সূদরপ্রসারী । মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, দরিদ্র ও পশ্চাদ্পদ জনগণের জীবিকায় স্বনির্ভরতা, সরাসরি জরুরী, সহজলভ্য ও জীবন রক্ষা কাজে আসছে না। অতঃপর সহসা হেলথ ইন্সুরেন্স কোম্পানী কিংবা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জন আস্থা আনতে সুনিপুণ নেতৃত্ব, সুশাসন, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রয়োগিক হেলথ ইনফরমপটিকস, করুণা বা দয়া নয়, নৈতিকতা ও মানবিকতায় শীর্ষ পেশাদারিত্ব, আর্থিক সামর্থ্য অর্জন, মেডিসিন ভ্যাকসিন ও টেকনোলজি, রোগতত্ত্ব, প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধানে বিহেবিয়ার কমিউনিকেশন পরিবর্তনের পরিধি বৃদ্ধি ও যথাযথ প্রয়োগের উপর প্রবন্ধে গুরুত্বারোপ করেন প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া।

সেমিনারে প্রফেসর ইমরান বিন ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে যোগ্য চিকিৎসক থাকার পরও আমরা বাইরে চিকিৎসা নিতে যায়। অনেক ক্ষেত্রে এদেশে চিকিৎসা ব্যয়বহুলও। এর কারণ স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বাজেট নেই।

স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বৃদ্ধি করা গেলে চিকিৎসার মান আরও উন্নত করা এবং সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে যাবে।

এছাড়াও সব মেডিকেল কলেজগুলোকে আন্তর্জাতিক সমমানের ও স্বশাসিত করা প্রয়োজন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা নিয়মিত কর্মযজ্ঞে পরিনত করা আবশ্যক। সুযোগ, সামর্থ আর আস্তার অভাবে কোনো জীবন প্রদীপ যাতে নিভে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাকে জনবান্ধব করা যাবে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসডিজি ৩ সুস্বাস্থ্য ও কল্যান নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সচেতন মহলকেও এগিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসক-রোগী-সর্বসাধারনের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নেও জোর দেয়া প্রয়োজন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।