মো. সাগর প্রকাশ রিমন—পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন প্রতারণা। ছলে বলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে হাতিয়ে নিতেন অর্থ। দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেও ছাড়েননি প্রতারণা। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে নাওগাঁ জেলার মান্দা থানা ও রাজশাহী জেলার মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়ে। সাগর নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাংড়া এলাকার মো. হাসানের ছেলে।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান বলেন, আটক রিমন নিজেকে পুলিশের এসপি, এডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ এবং নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রথমে সে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কন্ট্রোল রুম নম্বর নিয়ে নিজেকে পুলিশের এসপি, এডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে কল দেয়। পরে কন্ট্রোল রুম থেকে ওই থানা এলাকায় পুলিশ অফিসারের মোবাইল নম্বর নিয়ে তাকে কল দেয়। তাকে পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে স্থানীয় বিকাশ এজেন্টের সাথে কথা বলে কৌশলে তার মোবাইল নম্বর নিতো। পরে কৌশলে এজেন্টের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো।
ইতিমধ্যে সে অসংখ্য ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে বলেও জানায় পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, গত ২৭ অক্টোবর প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি নগরীর সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। সে মামলার আসামি সাগরকে গতকাল নওগাঁ ও রাজশাহী জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামি প্রতারক চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে ডিএমপি, রাজশাহী, পাবনা ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য, জালিয়াতি ও প্রতারণা সংক্রান্ত ৫টি মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন আছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।