ফটিকছড়ি-অক্সিজেন-চট্টগ্রাম রুটে এসি বাস চালুর ১১দিন পর বন্ধের দাবিতে লোকাল বাস বন্ধ রেখেছে চালক ও শ্রমিকরা।
শনিবার (৪ জুন) সকাল থেকে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়ে চট্টগ্রাম শহরগামী যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি বিবিরহাট বাস স্ট্যান্ড ও নতুন বাস স্ট্যান্ড এ চালক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে চাইলে কাউকে পাওয়া যায় নি। পেলাগাজী দীঘি সংলগ্ন নতুন স্টেশনে সারি সারিভাবে বাস দাড়ানো থাকলেও পাওয়া যায়নি কোনো চালককে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে নাজিরহাট লালকার্ড বাস শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, আমরা বাস বন্ধ করিনি। একটি চক্র আমাদের বিরুদ্ধে গিয়ে এটি করছে। আমার মনে হয় এখানে সিএনজি চালকরাও রয়েছে। আমাদের বিকেলে মিটিং আছে। সেখানে এবিষয়ে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবো।
বিচ্ছিন্ন কিছু শ্রমিক এসি বাস বন্ধের দাবি জানালেও খাগড়াছড়ি-ফটিকছড়ি-চট্টগ্রাম রুটে অনেক লোকাল বাস চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, যাত্রী সাধারণের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজীবুল বশর মাইজভান্ডারি, উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব ও ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র ইসমাইল হোসেন উপস্থিত থেকে এসি বাস (চট্টলার চাকা এক্সপ্রেস) উদ্বোধন করেছেন।
যাত্রীরা যেহেতু সেবা পাচ্ছে এটি বন্ধ করে দেয়ার দাবি অযৌক্তিক। রুটে এসি, লোকাল দুটোই চলবে। যাত্রীরাই তাদের সামর্থ্য ও সুবিধা অনুযায়ী বেছে নেবেন কোনটাতে করে ভ্রমন করবেন বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মাদ শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের সবাই না বরং কিছু শ্রমিক এসি বাস বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। যদিও সকল শ্রমিক নেতারা এ দাবির সাথে একমত না। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে শ্রমিক নেতাদের সাথে বসে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো। দ্রুতই লোকাল বাস গুলো চালু করবো বলেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির রহমান সানি বলেন, চালক শ্রমিকরা পূর্ব ষোঘণা ছাড়া লোকাল বাস বন্ধ রাখার বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে এমনটা হলে মালিক আর শ্রমিকরা বসে দ্রুত সমাধান করুক। তারা যদি আমাকে অবিহিত করে তাহলে আমি প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আফাজ উদ্দিন বাপ্পী বলেন, এটা একটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবি। তাদের মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ জনগনকে ভোগান্তিতে ফেলার অপরাধে তাদের এবং তাদের ইন্দন দাতাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
প্রতিনিয়ত তাদের কাছে সাধারণ জনগন হয়রানীর শিকার হচ্ছে। যে কোন ধর্মীয় উৎসব, এবং কোন কোন সময় বাসের চাহিদার চেয়ে যাত্রীসংখ্যা বেশি দেখা গেলে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে থাকে এর পরও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে জনগনের জীবন নিয়ে চিনিমিনি খেলে বলে জানান আফাজ উদ্দিন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।