কক্সবাজারের উন্মুক্ত স্থানে থার্টি–ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত থেকে বছরের শেষ রাতকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণ করে নিতে অনেক পর্যটক আসলেও হচ্ছে না সেই সুযোগ। সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবিদায় কিংবা বর্ষবরণের কোনো আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আর এতে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা।

পর্যটকরা বলেন, ভ্রমণে আসা কমবেশি সবার ইচ্ছে ছিল, সৈকতের বালুচরে দাঁড়িয়ে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুরোনো ২০২২ সালকে বিদায় এবং নতুন বছরকে ২০২৩ সালকে বরণ করার। এ সময় আতশবাজি ঝলকানি এবং ফানুসের আলোয় ঝলমল হতো অন্ধকার আকাশ। আগেও তিন চার লাখ মানুষের উপস্থিতিতে থার্টি–ফাস্ট নাইটের উৎসব হয়েছে। তখন নাশকতা, বোমা হামলার চিন্তা কারও মাথায় ছিল না। কিন্তু এখন ভাবতে হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষবিদায় উপলক্ষে এই সৈকতে সমাগম ঘটে অন্তত ৩ লাখ পর্যটকের। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না। ইতিমধ্যে দুই লাখের কাছাকাছি পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ আরও ৫০ থেকে ৬০ হাজার আসতে পারেন। তবে কতৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইরে কোন অনুষ্ঠান করা না গেলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের অতিথিদের জন্য নববর্ষ উদ্‌যাপনের আয়োজন করতে পারে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে থার্টি–ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কনসার্ট, গান বাজনাসহ সব ধরনের আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের অতিথিদের জন্য নববর্ষ উদ্‌যাপনের আয়োজন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেটি বিবেচনা করা হবে।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতের কোথাও আতশবাজি, ফটকা ফোটানোসহ গান-বাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ব্যান্ডসংগীতের আয়োজন করতে পারবে না কেউ। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় বালুচরে দাঁড়িয়ে সমুদ্র উপভোগ করা যাবে। বিধিনিষেধ পালনে টুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।