কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণে অভিযুক্ত জয় গ্রেপ্তার

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইসরাফিল হুদা জয়কে (২৮) গ্রেফতার করেছে টুরিস্ট পুলিশ। জয় ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে চকরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জয়ের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ মামলায় এজাহারভুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রধান আসামী আশিক ও হোটেল মানেজার ছোটনকে র‌্যাব আটক করে। অপর তিনজন রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টুরিস্ট পুলিশ চকরিয়া থেকে ইসরাফিল হুদা জয়কে গ্রেফতার করে। নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় জয় এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়— বুধবার সকালে কক্সবাজারে পৌঁছে হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন তারা। বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার শিশুসন্তান ও স্বামীকে অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। আর তিন যুবক আরেকটি অটোরিকশায় করে ওই নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গলফ মাঠের পেছনে নির্জন স্থানে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তিন যুবক তাকে দ্বিতীয় দফায় জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে আটকে রেখে আরেক দফা ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বাইরে থেকে রুম আটকে চলে যায় ওই তিন যুবক। পরে হোটেলের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে ডেকে এক ব্যক্তির সহায়তায় কক্ষ থেকে বের হন ওই নারী। স্থানীয়দের সহায়তায় ফোন করে র‌্যাবে অভিযাগ জানান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব। আর তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, এ বিষয়ে পুলিশের জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে তিনি কোনো সহায়তা পাননি। পুলিশের এসআই পদের এক সদস্য তাকে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।