কক্সবাজারে ১৬ লাখ টাকার জালনোটসহ গ্রেপ্তার ৪

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও তৈরির সরঞ্জামসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকার জালনোট ও জালনোট প্রস্তুতের কাজে ব্যবহৃত থিংকপ্যাড, ল্যাপটপ, নোটপ্যাড, এলইডি মনিটর, কালার প্রিন্টার, ফটোকপি প্রিন্টারসহ আরও অনেক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে।

সোমবার (২৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুতুবদিয়ার মনোহরখালী এলাকার মো. শহীদুল্লাহর ছেলে মো. ছাইফুদ্দীন আহাম্মদ ওরফে মিজান (২৫), মো. মিসবাহ্ উদ্দিন (৩২), মো. জিয়াউদ্দিন (২০) ও কৈয়ারবিল এলাকার ওমর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪)।

র‌্যাব জানায়, কিছু প্রতারক চক্র দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল বেছে নিয়ে বাংলাদেশি জাল টাকা তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব চট্টগ্রামে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গতকাল রোববার (২৭ মার্চ) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কুতুবদিয়া থানার উপজেলা পরিষদ গেটের সামনের একটি ভবনের নিচতলার কম্পিউটার দোকানে অভিযান চালায়। এসময় ওই দোকান থেকে জাল নোট তৈরির মূলহোতা সাইফুদ্দীন ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাদের কাছ থেকে জাল নোট প্রস্তুতের কাজে ব্যবহৃত থিংকপ্যাড, ল্যাপটপ, নোটপ্যাড, এলইডি মনিটর, কালার প্রিন্টার, ফটোকপি প্রিন্টার ও অন্যান্য আরও অনেক সরঞ্জামাদি এবং ১৬ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই সংগঠিত জাল নোট তৈরি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সকলের অগোচরে ও শহর এলাকায় বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অধিক তৎপর থাকায় তারা কুতুবদিয়াকে জাল টাকা ছাপানোর জন্য বেছে নিয়েছে। ছাইফুদ্দীন আহাম্মদ এই অবৈধ জাল নোট সিন্ডিকেটের মূলহোতা। সাইফুল ইসলাম কম্পিউটার বা ল্যাপটপে জাল টাকাগুলো প্রস্তুত করে কালার প্রিন্টারে প্রিন্ট করতো। আর মিসবাহ্ উদ্দিন জাল টাকাগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় আসল টাকা হিসেবে তাদের চক্রের নির্ধারিত লোকের মাধ্যমে চালানোর ব্যবস্থা করতো। জিয়াউদ্দিন জাল টাকা তৈরির সময়ে ওই দোকানের দরজায় পাহারায় নিয়োজিত থাকতো। টাকা ছাপানোর পর তাদের চক্রের নির্ধারিত লোকের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জাল টাকা গুলোকে সু-কৌশলে চালানো হতো।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরকে উপলক্ষ্য করে মানুষের ক্রয়-বিক্রি পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগে তাদের প্রস্তুতকৃত জাল টাকা গুলো মানুষের মাঝে আসল টাকা হিসেবে চালিয়ে জনগণকে ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া তারা এই জাল টাকা ব্যবহার করে মায়ানমার থেকে অবৈধ পথে মাদকদ্রব্য এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করতো বলে জানিয়েছে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।